মজুদ শেষ হওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগরের কেন্দ্রগুলোতে করোনার টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে আগেই। মহানগরের পরপর জেলার পাঁচ উপজেলায় লোহাগাড়া, সন্দ্বীপ, বোয়ালখালী, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়ায় টিকাদান বন্ধ হয়ে যায়। তবে চট্টগ্রামের বাকি উপজেলাগুলোতে সীমিত আকারে এতদিন টিকাদান কার্যক্রম চলছিল। টিকার সংকটে এখন চট্টগ্রামের সব উপজেলায় টিকাদান বন্ধ হয়ে গেছে। চট্টগ্রামে করোনার টিকাদান কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, টিকার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মহানগরসহ চট্টগ্রামের সব উপজেলাতে টিকাদান আপাতত বন্ধ রয়েছে। টিকাদান পুনরায় কখন চালু হবে, নতুন টিকা না আসা পর্যন্ত তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের প্রায় ৯৯ ভাগ কেন্দ্রে টিকাদান বন্ধ হয়ে গেছে। তবে দুটি কেন্দ্রে সীমিত আকারে চালু আছে। এর মাঝে গবেষণার আওতায় ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি কেন্দ্রে হাতে গোনা কিছু সংখ্যক টিকা দেওয়া হচ্ছে। যদিও সর্বসাধারণের টিকাদান এখানেও বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ভাটিয়ারী বিএমএতে অল্প সংখ্যক টিকা রয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্যদের এ টিকা দেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে মহানগরসহ চট্টগ্রামের সব উপজেলায় টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে গত ৮ এপ্রিল থেকে করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান শুরু হয়। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৪৩ হাজারের মতো টিকাগ্রহীতা তাদের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। এর আগে চট্টগ্রামে মোট ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬০ জন মানুষ টিকার প্রথম ডোজ নেন। হিসেবে প্রথম ডোজ নেওয়া আরো প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টিকা গ্রহীতা দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় আছেন। টিকা পাবেন কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।