প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে আবাহনী লিঃ। কোন দলই তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না। গতকাল টানা সপ্তম জয় তুলে নিয়েছে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে চট্টগ্রামের ছেলে সাব্বির হোসেনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে আবাহনী ৮২ রানের বিশাল ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে রাইজিং স্টার ক্লাবকে। লিগে রাইজিং স্টার ক্লাবের এটি দ্বিতীয় পরাজয়। সাব্বিরের সেঞ্চুরিতে আবাহনী সংগ্রহ করেছিল ৩১৭ রান। যা এবারের লিগে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এর আগে সিটি কর্পোরেশন একাদশ ৩১১ রান করেছিল ফ্রেন্ডস ক্লাবের বিপক্ষে। আর আবাহনীর এতদিন সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ছিল ২৮৫ রান। যা তারা করেছিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বিপক্ষে।
সকালে টসে জিতে আবাহনীকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রন জানিয়েছিল রাইজিং স্টার অধিনায়ক। তার সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল সেটা প্রমান করে আবাহনী দুই ওপেনার তাজুল এবং হান্নান। দুজনে তুলে নেন ৭৯ রান। দুজনকে ফেরান রাইজিং স্টার ক্লাবের মেহেদী। প্রথমে ৫৬ বলে ৫২ রান করা তাজুলকে আর পরে ৪৩ রান করা হান্নানকে। এরপর শোয়েব এবং সাব্বির মিলে যোগ করেন ৮৭ রান। ৩৩ রান করা শোয়েবকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙ্গেন ওমর ফারুখ। এরপর জীবনকে নিয়ে আরো ৮৪ রান যোগ করেন সাব্বির। মাত্র ২৬ বলে ৪৯ রান করা জীবন ফিরেন রান আউট হয়ে। জীবন তার হাফ সেঞ্চুরি মিস করলেও সাব্বির তুলে নেন তার সেঞ্চুরি। মাত্র ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পুরন করা সাব্বির তার সেঞ্চুরি পূরণ করেন ৭১ বলে। শেষ পর্যন্ত ৭৫ বলে ৮টি চার এবং ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১০৫ রান করে অপরাজিত থাকেন সাব্বির। আর তার দল পৌঁছে যায় ৩১৭ রানের পাহাড়ে। রাইজিং স্টারের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন মেহেদী এবং আলভী।
৩১৮ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তুলছিলেন আলভী। এই ওপেনার ৯৫ বলে ৭২ রান করে ফিরলেও দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন মুনতাসির। তিনিও তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। কিন্তু দলের অন্য ব্যাটাররা প্রয়োজনের নিরিখে ব্যাটিং করতে পারেনি। ফলে ক্রমশ বেড়েছে প্রয়োজনীয় রান রেট। যা পরবর্তীতে আর লক্ষ্যে পৌঁছাতে দেয়নি রাইজিং স্টার ক্লাবকে। আবাহনীর বোলাররা খুব বেশি ভাল বল করতে না পারলেও রানের নিয়ন্ত্রণটা বেশ ভালই করেছে। আর তাতেই পুরো ৫০ ওভার খেলে অল আউট না হলেও ২৩৫ রানে থামে রাইজিং স্টার ক্লাব। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন মুনতাসির। এছাড়া মিথুন ৩৫. রাজিব ২০, তুহিন ১২, আকিবুল ১২ রান করেন। আবাহনীর পক্ষে ৩৬ রানে ৩টি উইকেট নেন রবিউল ইসলাম। ২টি উইকেট নিয়েছেন তাজুল ইসলাম।











