সন্দ্বীপে আধিপত্য বিস্তার ও একটি খাল দখল নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গত সোমবার রাত ৮টার দিকে মগধরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে রিফাত নামের এক স্কুল ছাত্রসহ চারজন আহত হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুরুতর আহত রিফাত মারা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জামসেদ মেম্বারের ছেলে রিফাতের সঙ্গে একই ইউনিয়নের আলমগীর ও দিদার নামে দুই ব্যক্তির কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে বিএনপি দুই পক্ষের উত্তেজনা চরমে ওঠে। পরে রিফাতের ওপর হামলা হয়। প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। নিহত রিফাত উপজেলার মগধরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার পিতা জামসেদুর রহমান সন্দ্বীপ উপজেলা শ্রমিক দলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পদক ও মগধরা ইউনিয়ন বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক।
মগধরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর আজাদীকে জানান, মগধরা ইউনিয়নের খাল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় রিফাত আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরা গিয়ে আহত রিফাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও অভিযোগ করেনি। কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।