বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, মানুষকে শাস্তি দিতে চাইলে বলতে পারেন, তুমি একবারের জন্য হলেও সন্দ্বীপে যাও। কারণ সন্দ্বীপে যেতে পুরুষ নারী শিশুদের কোমড় পানিতে পর্যন্ত নামতে হয়। মাথার ওপরে মালপত্র নিয়ে অনেক কষ্টে নৌযানে উঠতে হয়। তাছাড়াও ঘাটে রয়েছে নানা অব্যবস্থাপনাও। গতকাল রবিবার সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া–গুপ্তছড়া ফেরিঘাটের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, সন্দ্বীপ একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। তবে এখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সন্দ্বীপের মানুষকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। মানুষ বাড়িতে যাওয়া বা আত্মীয়–স্বজনদের সাথে দেখা করতে যাওয়া তো অপরাধ না। আমার বাড়িও সন্দ্বীপ, কিন্তু সেটা মূল বিষয় না। এটি উন্নয়নের ইস্যু। উন্নয়ন সব ঢাকা কিংবা বড় শহরে হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ অনুযায়ী, যেসব জায়গায় উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছেনি সেসব জায়গায় পৌঁছাতে হবে।’
ফেরি চলাচল বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, দুইপাশে এপ্রোচ সড়ক যেটি রয়েছে সেই কাজটি এখন করছি। আমরা টার্গেট নিয়েছি মার্চের ১০ তারিখের মধ্যে এটি অপারেশনের জন্য প্রস্তুত হবে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম রফিকুল ইসলামসহ বিআইডব্লিউটিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।