সন্দ্বীপে ঈদ যাত্রায় চরম ভোগান্তি

ওমর ফয়সাল, সন্দ্বীপ | বৃহস্পতিবার , ২০ জুন, ২০২৪ at ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ

এবার ঈদুল আজহার ছুটিতে সন্দ্বীপে আসা যাত্রীদের পড়তে হয়েছে দুর্ভোগ ভোগান্তিতে। চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ আসতে পাড়ি দিতে হয় সন্দ্বীপ চ্যানেল।

বৈরী আবহাওয়ার কারণে এবারের ঈদের সপ্তাহ খানেক আগ থেকে নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ থাকায় কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌরুটে চলাচলকারী অন্যতম যাত্রীবাহী নৌযান স্পিডবোট চলাচল একপ্রকার বন্ধই ছিল বলা যায়।

ফলে যাত্রীদের নির্ভর করতে হয় বিআইডব্লিউটিসির জাহাজ এমভি আইভি রহমান ও সার্ভিস ট্রলারের উপর। তবে লাইফবোট (লালবোট) দিয়ে উঠানামা করতে হওয়ায় প্রচণ্ড ঢেউয়ের মধ্যে দিয়ে জাহাজে উঠানামা ঝুকিপূর্ণ।

আবার গতকাল বুধবার তিন নম্বর সতর্ক সংকেতের কারণে বন্ধ রয়েছে এমভি আইভি রহমানের চলাচল। ফলে ঈদের ছুটি কাটিয়ে শহরমুখী যাত্রীদের ভীড় সকাল থেকে গুপ্তছড়া ঘাটে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে গুপ্তছড়া ঘাটে গিয়ে উপচে পড়া ভীড়ের কারণে ঘাট থেকে ফিরে আসতে হয়েছে মাহমুদুল হাসান নামের এক যাত্রীকে।

তিনি আজাদীকে জানান, স্টিমার সার্ভিস বন্ধ থাকায় সকাল থেকে স্পিডবোট আর সার্ভিস বোটে করে যাত্রীরা যাচ্ছে। তবে অত্যাধিক যাত্রী থাকায় ঘাটে এ সার্ভিস অপ্রতুল। তাই অনেক যাত্রী সকাল ৬ টায় ঘাটে এসেও টিকেট না পেয়ে ফিরে আসতে হয়েছে বাড়িতে।

সাংবাদিক আবু রায়হান তানিন। তিনি ঈদ করতে এসেছেন সন্দ্বীপে গ্রামের বাড়িতে। তবে ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে পড়ছেন ভোগান্তিতে। স্টিমার সার্ভিস না থাকায় গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে ফির‍তে ব্যর্থ হন।

তিনি আজাদীকে জানান, এবারে ঈদ যাত্রায় সমন্বয় না থাকার বিষয়টা খুব সাদা চোখে দেখা গেছে। বুধবার বেশি ডেউ থাকার অজুহাতে শীপ বন্ধ রাখা হল। কিন্তু স্পিডবোট ঠিকই চলাচল করেছে। আজকেও সিগন্যালের কারণে শিপ বন্ধ।

মাঝে মাঝে স্পিড বোট আর সার্ভিস দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। কিন্তু ঘাটে যাত্রীদের যে ভীড় তার তুলনায় পার হচ্ছে খুব সামান্য মানুষ। এমন পরিস্থিতি কাম্য ছিল না।

জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির চট্টগ্রামের মহা-ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) গোপাল চন্দ্র মজুমদার আজাদীকে জানান, বৈরী আবহাওয়ায় জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকার নির্দেশ রয়েছে ডিসি ও কোস্ট গার্ড থেকে। কিন্তু এসময় স্পিডবোট চলাচল করলেও জাহাজ বন্ধ থাকার বিষয়টি উল্লেখ করলে তিনি বলেন, স্পিডবোটের সময় লাগে ২০ মিনিট। কিন্তু জাহাজে উঠানামার বিষয় আছে। সময়ও লাগে বেশি। তবে জাহাজের মাস্টারকে সাগরের পরিস্থিতি অনূকূলে থাকলে জাহাজ চালানোর জন্য বলা আছে বলে তিনি জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু আজ, ফিরছেন‌ ৮৩৯ জন‌
পরবর্তী নিবন্ধদাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, ফটিকছড়ির যুবকের মৃত্যু