ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ‘পুঁজি করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াত–শিবির ও বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে’ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ‘চট্টগ্রামের শান্তিকামী চিকিৎসক সমাজ’র ব্যানারে গতকাল দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মেইন গেটে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) চমেক শাখার সভাপতি ডা. রবিউল করিমের সঞ্চালনায় এবং বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্বাচিপ চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ডা. আরিফুল আমিন, কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ শরীফ, স্বাচিপ চমেক শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. রিজোয়ান রেহান, চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আকতার, স্বাচিপ চট্টগ্রাম জেলার সাবেক সভাপতি ডা. শেখ শফিউল আজম, স্বাচিপ চট্টগ্রাম জেলার সহসভাপতি ডা. রফিকুল মওলা প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিলেও নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াত–শিবির ও বিএনপির সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর–অগ্নিসংযোগ করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গুলি করে হত্যা করেছে। এসব নাশকতাকারীরা পরিকল্পিতভাবে দেশকে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ব্যবহার করে তারা সরকার পতনের চেষ্টা করছে। স্বাস্থ্য ভবন, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা করছে। কোটা সংস্কার হোক সেটা আমরা চাই। আমরা সবাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির সাথে একমত। এই আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছে তাদের জন্য আমাদেরও রক্তক্ষরণ হয়। ছাত্রদের আন্দোলনকে পুঁজি করে একটা গোষ্ঠী দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। এ সময় দেশকে বাঁচাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশের চিকিৎসক সমাজ ও সর্বস্তরের জনতাকে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান বক্তারা। সমাবেশ শেষে চিকিৎসকরা মিছিল নিয়ে চমেক হাসপাতালের আশপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ করে।











