ছোট্ট কোমলমতি শিশুদের মানসিক বিকাশে মায়ের ভূমিকা অত্যধিক। জন্মের পর হতে নবজাতক শিশুকে বেশিরভাগ সময় মায়ের সংস্পর্শেই বেড়ে উঠতে হয়। শিশুর সকল চাহিদা মেটাতে মা সর্বদা পাশে থাকে। তবে এর মাধ্যমে আমি বাবার ভূমিকাকে কোনভাবে খাটো করে দেখছি না। কারণ বাবা মা দুজনের অতুলনীয় ত্যাগের মাধ্যমেই সন্তান সুন্দর জীবনমান পেয়ে থেকে। যেহেতু মাতৃদুগ্ধ পান থেকে শুরু করে সকল চাহিদা মা‘কে খুব কাছ থেকে করতে হয় তাই বলবো মায়ের ভূমিকা অবশ্যই অধিক। এক্ষেত্রে কর্মজীবী মা হোন আর গৃহিনী মা হোন না কেন সব মায়ের ভূমিকাই সমান। একজন কর্মজীবী মা দিনের শুরু এবং অফিস শেষে তাঁর সন্তানের জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেন। তাঁর অফিস সময়ে বাচ্চার দেখাশোনা কিভাবে করলে বা কার মাধ্যমে করলে বাচ্চার ভালো হবে সেটাই করে থাকেন। শিশুর বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে শুরু হয় তার আচার–আচরণ, কথা বার্তা বলার বাচনভঙ্গি এবং উন্নত মানসিকতা গঠনের পূর্ব প্রস্তুতি। মায়ের সংস্পর্শে এসে শিশু এসব আয়ত্ত করতে পারে সুন্দর ও সুচারু রূপে। যে মায়ের মানসিকতা যেমন তাঁর সন্তানের মানসিকতা ও ঠিক সেভাবেই গড়ে ওঠে। মায়েদের সকল সুকর্ম এবং কুকর্মের প্রভাব সন্তানের মাঝে পরিলক্ষিত হয়। তাই সন্তানের মানসিকতা বিকাশে মায়েদেরকে অতি যত্নের সাথে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে হবে। আমরা মায়েরা সন্তানের মানসিক বিকাশ গঠণের জন্য খুব ধৈর্য্য ও যত্নের সাথে সুন্দর ব্যবহার দিয়ে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কোমলমতি শিশুদের সামনে অনৈতিক কথা বার্তা এবং অনৈতিক কাজ হতে বিরত থাকতে হবে। সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে খামখেয়ালি বিষয়গুলো সন্তানের সামনে না করাই শ্রেয়।