চারদিকে শুরু হয়েছে নানান রকম কিশোর অপরাধ। ছিনতাই, ইভটিজিং, মাদক, অহেতুক মারামারি এসবের মধ্যে ঢুকে পড়ছে উড়তি বয়সের কিশোরেরা। আসলে এর কারণ কী? এর কারণ হলো সঙ্গদোষ। তার থেকেও বড় কথা অভিভাবকদের উদাসীনতা। ছেলে সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কি করছে, কার সাথে মিশছে এসবের খোঁজখবর না নেয়া। কিশোর বয়সই হলো জীবনের ভিত্তি স্থাপনের সময়। এই সময়ে যে ঠিকঠাক চলতে পারবে, ভালো মন্দ বেছে চলবে সেই ভবিষ্যতে পাবে রঙিন জীবন আর তা না হলে ডুবে যাবে নর্দমার পঁচা জলে।
এই বয়সেই মা-বাবার বেশি সচেতন হওয়া জরুরী। কিন্তু কিছু কিছু অভিভাবক আছেন, যারা ভাবেন ছেলে বড় হচ্ছে, তাকে একটু ছাড় দেই। ছেলে রাত করে বাড়ি ফিরছে, ফিরুক না! ছেলে এখন বড় হচ্ছে, একটু তো রাত হবেই। আমার নিজ চোখে দেখা এমনও অভিভাবক আছে, যিনি বলেছেন, এ বয়সে ছেলেপেলে তো একটু সিগারেট খাবেই।
হায়রে আফসোস! আমার বিশ্বাস সেই অভিভাবক এটাও বলতে পারে, এই বয়সে ছেলেপেলে তো একটু ইভটিজিং করবেই। কিন্তু তারা কি জানে, এই সিগারেটই হলো নেশার প্রথম ধাপ। অনেকে বলে সিগারেট এখন ফ্যাশনে রূপান্তরিত হয়েছে। আমাদের অভিভাবকদের এটা বুঝতে হবে সন্তান বড় হচ্ছে কিন্তু এই ভেবে তাকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। মা বাবা-ই পারে সন্তানকে সুপথে ফেরাতে আবার মা-বাবার কারণেই সন্তান নষ্ট হয়।