পৃথিবীতে মানুষ নিজেই তার নিজের সকল কাজের, সকল চিন্তাধারার সাক্ষী। একমাত্র সেই জানে সে কি করে। শান্তি খুঁজে বেড়াই আমরা সবাই। শান্তি কোথায় জানেন? আপনার নিজের ভিতর। একটা মানুষের জীবনের চারটি ধাপ- ১. শিশু ২. কিশোর ৩. যৌবন, ৪.বৃদ্ধ। প্রথম ধাপে আপনি নিস্পাপ দুনিয়ার কোন চাওয়া পাওয়া আপনাকে ছোঁবেনা।ওই জীবনটা আপনার শান্তির তবে তা আপনি তখন উপলব্ধি করতে পারবেন না। যখন উপলব্ধি করতে পারবেন তখন ঐ শান্তির দাম নাই। কিশোর জীবনে কিছু কিছু তৃপ্তিতে আপনি হয়তো কিছু ভুলও করে বসবেন, ওগুলো আপনাকে সাময়িক শান্তি দিবে কিন্তু একটা সময় ওগুলোই অশান্তির কারণ হবে। আর যৌবন। যৌবনে আমরা জীবন যুদ্ধে নেমে পড়ি। যেহেতু এর সময়কাল একটু বেশী। এই সময়কালটাতে আমরা কেউ বিলাসিতার পিছনে নিরবধি ছুটে চলি। শান্তি খুঁজি। অনেকে অনেক কিছু করে বসি। অপরাধ জগতের মত জঘণ্য জগতে চলে যাই সুখ, শান্তি খোঁজার আশায়। নিরবধি ছুটে চলি শান্তি, শান্তি, সুখ, সুখ করে। ফলে আমরা মরীচিকায় শান্তিকে হারাই। খুঁজে পাইনা আর শান্তি নামক সোনার হরিণটিকে। ধরে নিন কেউ শান্তিতে থাকার আশায় ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে গেল। আলটিমেটলি সে অশান্তির সাগরে পড়ে গেল। তার অনেক টাকা কিন্তু শান্তি উধাও।সারা জীবনের জন্য। তার নিজের কাছেই তো সে অপরাধী। তাহলে শান্তি কই। জী শান্তি হচ্ছে সেটাই প্রতি মুহূর্তে প্রতিটা কাজ করার পর আপনি যখন মনে করবেন আমি কষ্ট করেছি, অন্যায় করেনি কষ্ট করে অর্জন করেছি। আমি কাওকে ঠকাইনি। আমি ক্ষমা করেছি। আমি ভালোবেসেছি। আমি প্রতারণা করিনি। এটাই হচ্ছে শান্তি। চিরস্থায়ী শান্তি। এই শান্তি আপনাকে বার্ধক্যে সুখ দিবে। একা যখন বসে থাকবেন শান্তি দিবে। তাই চলুন শান্তি খুঁজতে গিয়ে অশান্তির পথে না হাঁটি। ওটা মরীচিকা। সত্য, সুন্দর পথে হাঁটুন। সত্য বলা শিখুন। পরিশ্রম করতে শিখুন। নিজের বিবেকের কাছে পরিস্কার থাকুন। শান্তি আপনার মনে। শুধু উপলব্ধির সময়টা নির্ধারণ করুন।