দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগরে টানা ৩ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর গতকাল রোববার বিকাল থেকে ফের মাছ ধরা শুরু হয়েছে। কক্সবাজারসহ দেশের ৪টি সমুদ্র বন্দরে গত বৃহস্পতিবার থেকে জারি করা আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা সংকেত গতকাল রোববার সকালে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর থেকে কক্সবাজারের মাছধরা ট্রলারগুলো ফের সাগরে রওয়ানা দেয়।
জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত থাকায় এর প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় সমুদ্রবন্দরসমূহে ৩ নং সতর্কতা সংকেত জারি করে আবহাওয়া দপ্তর। ফলে কক্সবাজারের ট্রলারগুলো সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রেখে ঘাটে ফিরে আসে। ৩ দিন পর গতকাল রোববার আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সমুদ্রবন্দরসমূহের উপর সকল সতর্কতা সংকেত তুলে নেয় আবহাওয়া দপ্তর। এরপর কক্সবাজারের মাছধরা ট্রলারগুলো ফের সাগরে রওয়ানা দেয়। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজারের ৯৫ শতাংশ ট্রলার সাগরে গেছে। বাকী ট্রলারগুলোও যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে আজ সোমবার বা আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে মাছ ধরতে সাগরে বলে আশা করেন তিনি।
জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির মতে, কক্সবাজারে ছোট বড় ৭ সহস্রাধিক যান্ত্রিক বোট রয়েছে। এরমধ্যে বড় নৌকায় ৩০ থেকে ৪০ জন এবং ছোট নৌকায় ৫ থেকে ১৭ জন জেলে থাকে। আবার কক্সবাজার শহরতলীর দরিয়ানগর ঘাটের ইঞ্জিনবিহীন ককশিটের বোটে থাকে মাত্র ২ জন জেলে। ট্রলারগুলোর মধ্যে ইলিশ জালের বোটগুলো ৮/১০ দিনের রসদ নিয়ে এবং তাইল্যা জালের বোটগুলো এক সপ্তাহের রসদ নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়।
কক্সবাজার শহরের প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ফিশারীঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী বলেন, রোববার (গতকাল) বিকাল থেকে কক্সবাজারের সকল ধরনের ট্রলার সাগরে মাছ ধরতে গেছে। তবে ইলিশ জালের বোটগুলোর গভীর সাগর থেকে মাছ ধরে ঘাটে ফিরতে আরো ৪/৫ দিন সময় লাগবে।