শিক্ষা, সমাজসেবা, রাজনীতি এবং সাহিত্য সংস্কৃতিতে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার রয়েছে এক মহান ঐতিহ্য। এমন একজন স্মরণীয় ও বরণীয় ব্যক্তিত্ব হলেন মরহুম মাস্টার রুহুল আমীন চৌধুরী, যিনি একাধারে শিক্ষকতা, সমাজসেবা এবং গ্রাম–জনপদ উন্নয়নে নিঃস্বার্থ অবদান রেখেছেন। শিক্ষক, ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট এবং জুরী বোর্ডের সদস্য –ত্রিমাত্রিক এ বিশাল দায়িত্বে কেটেছে তাঁর সমগ্র জীবন। শিক্ষকতার মাধ্যমে জ্ঞানের আলো ছড়ানো, স্থানীয় অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে সামাজিক শৃঙ্খলা ও শান্তি স্থাপন এবং গ্রাম উন্নয়ন ও জনপদ সংস্কার কাজে তিনি নিরবচ্ছিন্নবভাবে ব্যস্ত থাকতেন। ফটিকছড়ির ফতেহপুর গ্রামের ইয়াসীন পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে রাউজানের হলদিয়ায় অভিবাসন গ্রহণ করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মৌলভী আব্দুর রহমান এবং মাতা ছিলেন জোবেদা খাতুন। তাঁরা উভয়েই ছিলেন অত্যন্ত ইমানদার ও নেককার। পিতা আব্দুর রহমান কলকাতা আলিয়া মাদরাসা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন।
ঘাম ঝরানো পরিশ্রম, নির্লোভ ও নির্মোহ জীবন এবং নিরবছিন্ন জ্ঞান–বিতরণে মাস্টার রুহুল আমীন ছিলেন এক অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব। হাত পাখা, লেবু পাতার শরবত, কাঠের চৌকি, শাকসবজি, সাধারণ মানের পোশাক পরিচ্ছদ ইত্যাদি ছিল তাঁর জীবনযাপনের অনন্য উদাহরণ। অর্থ উপার্জনের নেশা কিংবা বিলাসী জীবনের মোহ তাঁকে কখনোই নীতি বিচ্যুত করতে পারেনি। দৈনিক ৬ মাইল প্রখর রোদে কিংবা অঝোর ধারায় বৃষ্টিতে মেঠো পথ পাড়ি দিয়ে তিনি রাউজান সদরে অবস্থিত আরআরএসি স্কুলে পৌঁছুতেন। চট্টগ্রামের রাউজান আরআরএসি ইনস্টিটিউশন তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে শিক্ষার মানে ছিল অদ্বিতীয় এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন দুটি তদানীন্তন খ্যাতনামা জমিদার পরিবার, ‘রামগতি রামধন ও আব্দুল বারী চৌধুরী’। এ প্রতিষ্ঠানে মাস্টার রুহুল আমীন চৌধুরীর শিক্ষকতার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল দেশজুড়ে। একদিকে কলকাতার গ্রাজুয়েট, অন্যদিকে ইংরেজি ও ভূগোলে পাণ্ডিত্য এবং অপরদিকে শৃংখলা ও শাসনের কঠোর দণ্ড, এমন বহুমাত্রিক প্রতিভা ও গুণাবলির কারণে তিনি পরিণত হন কিংবদন্তিতে। তাঁকে বলা হতো ‘ভূগোল বিদ্যার পণ্ডিত, ভূগোল শিক্ষার জাদুকর’। কারণ, শ্রেণিকক্ষের দেয়ালে স্থাপিত পৃথিবীর মানচিত্র চাক্ষুষ না দেখেই চেয়ারে বসে বা দাঁড়িয়ে পেছন থেকে বেত উঠিয়ে তিনি পৃথিবীর দেশগুলো নির্ভুল স্থানে চিহ্নিত করে ভূগোল শেখাতেন। তখন মাল্টিমিডিয়া বা কম্পিউটার ছিল না। অথচ এ যুগের শিক্ষা–শিখন প্রμিয়া যত আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর হোক না কেন, এমন নিখুঁত ও সযত্ন শিক্ষকতা খুঁজে পাওয়া যাবে না। রুহুল আমীন স্যারের কড়া অনুশাসনে এ প্রতিষ্ঠান খ্যাতির শিখরে পৌঁছেছিল। দীর্ঘ ৩৪ বছর তাঁর জীবন উৎসর্গিত হয় শিক্ষকতায়। ১৯২১ সনের ১৪ জুন মাত্র ৫০ টাকা বেতনে সহকারি শিক্ষক পদে তাঁর শিক্ষকতা জীবনের সূচনা ঘটে। অতঃপর ৩৪ বছরের শিক্ষকতা জীবন সমাপ্ত করে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
মাস্টার রুহুল আমীন চৌধুরীর বহুছাত্র পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রশাসন, প্রকৌশল, চিকিৎসা, শিক্ষা, বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ অলংকৃত করেছেন। তাঁর ছাত্রদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হলেন যথাμমে বিচারপতি আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান প্রকৌশলী মরহুম সুলতান মাহমুদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রঞ্জিত দে, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রঞ্জিত ধর, বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসের খ্যাতনামা অফিসার বগুড়ার সাবেক জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক এ.এফ.এম এজহারুল ফয়েজ, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ডিজিএম মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সিনিয়র হাইড্রোগ্রাফার আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের অধ্যাপক আবুল মনসুর ফয়েজুল কবির সহ আরও অনেক জ্ঞানী ও গুণী ব্যক্তিত্ব। বিস্ময়কর হলেও সত্য, মাস্টার রুহুল আমীন চৌধুরী তাঁর নিজ ছাত্র এজহারুল ফয়েজের কন্যা শায়েস্তা আক্তারের সঙ্গে নিজ পুত্র তদানীন্তন পুর্ব পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ডাক্তার (ক্যাপ্টেন) মোমিনুল হক চৌধুরীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে শিক্ষক–ছাত্রের সম্পর্কের গণ্ডি পেরিয়ে উভয়ে বেয়াইয়ের সম্পর্কের বন্ধনে রূপান্তরিত করেন।
সরকারি চাকরির প্রলোভন কিংবা রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের প্রতি তাঁর মোহ ছিল না। তিনি দীর্ঘ ৩২ বছর হলদিয়া ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করে সুশাসনে শাণিত করেছেন এ এলাকাকে। চোর–ডাকাত, বন্য জন্তু এবং ঝোপ জঙ্গল থেকে মুক্ত করেছেন প্রকৃতির অপরূপ শোভায় শোভিত হলদিয়া এলাকাকে। দুর্দমনীয় সাহসিকতায় অনেক দুর্ধর্ষ ডাকাত ও অপরাধীকে ধরে বিচারে সোপর্দ করে এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেন শান্তি ও নিরাপত্তা। ব্রিটিশ আমলে সরকার জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে মাষ্টার রুহুল আমীন চৌধুরীকে নিয়োগ প্রদান করে। এ গুরুদায়িত্বে বিচারকের আসনে বসে তিনি বহু অপরাধের ঘটনায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন। গ্রামে গ্রামে বহু জনবিরোধ নিষ্পত্তিতে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ ‘গভর্নর অব বেঙ্গল’ কর্তৃক ১৯২৬ সনের ১৮ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ফার্স্ট ক্লাস সার্টিফিকেট এবং দক্ষ জনসেবায় অনন্য ভূমিকা পালনের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘গভর্নর অব বেঙ্গল’ কর্তৃক তাঁকে ১৯২৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি স্বর্ণের রিং সহ ফার্স্ট ক্লাস সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ১৯২৭ সনের ২৬ ফেব্রুয়ারি মাস্টার রুহুল আমীন চৌধুরীকে ব্রিটিশ বিভাগীয় কমিশনার কর্তৃক এক দরবারে পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে সংবর্ধনা দেয়া হয়। অপরাধ দমন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তদানীন্তন ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে চট্টগ্রামের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে অভিনন্দন বার্তাও প্রেরণ করেন। ১৯৪৮ সনে ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের পুলিশ লাইন মাঠে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে প্রদত্ত গণসংবর্ধনায় মাস্টার রুহুল আমীন চৌধুরীকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত করা হয়।
১৯৬০–১৯৭০ এর দশকে গ্রামে সুপেয় পানির তীব্র সংকট ছিল। পুকুর–দিঘির পানি ছিল একমাত্র সম্বল। এ সংকট নিরসনের লক্ষ্যে তিনি স্থাপন করেন গভীর নলকূপ। এ নলকূপের পানি কত তৃষ্ণার্ত, পিপাসার্ত ও অভাবগ্রস্তদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে, তাঁর হিসাব একমাত্র রাব্বুল আলামীনের কাছেই আছে। রুহুল আমীন চৌধুরীর উদ্যোগে ও পৃষ্ঠপোষকতায় স্থাপিত হয় ইয়াসীননগর জুবিলী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জানিপাতার বিদ্যালয়, ইয়াসীন নগর জুবিলী ঈদগাহ মাঠ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। এছাড়া তিনি পাহাড়–টিলা–সমতলে বৈচিত্র্যপূর্ণ বিশাল আয়তনের ভূমি সম্পদ ওয়াক্ফ করেছেন, এ জমি থেকে উৎপাদিত ফসল ও আয়ের অংশ গত অর্ধ শতাব্দি কাল যাবৎ দরিদ্র ও অভাবগ্রস্তদের নিকট বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু কোথাও তিনি তাঁর অবদানের স্মৃতিস্মারক হিসেবে নামফলক বসাননি কিংবা কখনো এলাকায় জনসভা ডেকে আত্মপ্রশংসামূলক বক্তৃতায় প্রকম্পিত করেননি। জীবনভর তিনি নীরবে–নিভৃতে মেধা ও শ্রম দিয়েছেন মানুষের কল্যাণে। অল্পবয়সে পিতৃহারা হয়েও কঠিন জীবন সংগ্রামের মধ্যে তিনি নিজের অধ্যবসায়ের পাশাপাশি সহোদর ভ্রাতা যথাμমে বজলর রহমান চৌধুরী, বদিউল আলম চৌধুরী, ফজলুক হক এবং এডভোকেট নজমুল হককে অপত্য স্নেহে শিক্ষা–দীক্ষায় ও অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ভ্রাতাদের সকলেই রুহুল আমীন চৌধুরীকে পরম শ্রদ্ধা করতেন, তাঁরা সকলেই ধার্মিক ও ন্যায়পরায়ন ছিলেন। বিশেষ করে এডভোকেট নজমুল হক আইন পেশায় কঠোর সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তিনি মাস্টার রুহুল আমীন চৌধুরীর সঙ্গে ৫০–এর দশকে হজব্রত পালন কালে মহান আল্লাহ তায়ালার অভিপ্রায়ে মিনায় ইন্তেকাল করেন। মিনার একটি পাহাড়ের পাদদেশে তাঁর সমাধি রয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালার বিশেষ অনুগ্রহ ছাড়া এমন বিরল সৌভাগ্য অর্জন সম্ভব নয়।
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত রাউজানে হিন্দু সম্প্রদায় এবং নিকটবর্তী পার্বত্য এলাকার উপজাতি জুম্ম সম্প্রদায় মাস্টার রুহুল আমীনকে শ্রদ্ধাভরে তাদের অন্তরে স্থান দিয়েছিলেন। বিশেষ করে জুম্ম সম্প্রদায় কুরবানীর ঈদে তাঁর বাড়িতে এসে আতিথেয়তা গ্রহণ করে ধন্য হতো। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর লক্ষ্যবস্তু ছিল রাউজান, ফলে সংখ্যালঘু গ্রামে তারা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এ কঠিন সংকটে ডাবুয়া গ্রামের প্রসিদ্ধ হিন্দু জমিদার ‘ধরবাড়ির’ দুটি পরিবারকে তিনি নিজ বাড়িতে নিরাপদ আশ্রয় প্রদান করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন দীর্ঘ ৯ মাস এ দুটি পরিবার মাস্টার রুহুল আমীন চৌধুরীর আশ্রয়ে ও তত্ত্বাবধানে ছিল। রাউজানে একটি জনপ্রিয় প্রবাদ ছিল ‘রুহুল আমীন চৌধুরীর বাড়ি, জ্ঞানের বাড়ি’। মাস্টারবাড়ির পরিবারের সদস্যরা মহান আল্লাহপাকের অপার অনুগ্রহে বংশানুμমে তাঁর সততা ও পরোপকারিতার আদর্শ বজায় রেখেছেন। অনৈতিক অর্থ উপার্জন, দাম্ভিকতা প্রদর্শন কিংবা রাজনৈতিক সুবিধাগ্রহণ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত তাঁর সন্তানরা ও পরবর্তী ধারাবাহিক প্রজন্ম। তাঁর ৩ পুত্র হলেন, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ‘টার্নার গ্রাহামস্’–এর নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী, খ্যাতনামা শিশু চিকিৎসক ডা: মোমিনুল হক চৌধুরী এবং অধ্যক্ষ মাহফুজুল হক চৌধুরী। তন্মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় পুত্র ২০২২ সনে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে ইন্তেকাল করেছেন। তাঁরা উভয়েই নিঃস্বার্থ জনসেবা, পরোপকার এবং ধর্মীয় অনুশাসনে গণ্ডিতে নির্লোভ ও নির্মোহ জীবন পরিচালনা করে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। কনিষ্ঠ পুত্র অধ্যক্ষ মাহফুজুল হক চৌধুরী কঠোর সততা ও নিষ্ঠার সাথে অধ্যাপনা সমাপ্ত করে বর্তমানে অবসর জীবনযাপন করছেন। শিক্ষকতায় প্রশংসনীয় ভূমিকা পালনের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে সম্মাননা প্রাপ্ত হন।
মাটির তৈরী সাধারণ ভিটে বাড়িতে জীবন কাটিয়েছেন মাস্টার রুহুল আমীন চৌধুরী। পাকা দালানে আয়েশী জীবনযাপনের অভিপ্রায় ছিল না। তাঁর ব্যবহার্য আসবাবপত্র ছিল অতি সাধারণ। এমনকি তিনি তাঁর বসবাসের কক্ষটির মেঝে সিমেন্ট দিয়ে পাকা করতে দেননি। কালের পরিμমায় আজ দিগভ্রান্ত এ সমাজে মানুষ চিরস্থায়ী পরকালকে ভুলে ক্ষণস্থায়ী চাকচিক্যময় জীবনকে অনিবার্য অনুষঙ্গ করে নিয়েছে। মাস্টার রুহুল আমীন চৌধুরী প্রকৃতই সৎ ও শুদ্ধাচারী জীবনের এক অনন্য দৃষ্টান্ত ছিলেন। ১৯৭৮ সালের ১৫ অক্টোবর তিনি মহান আল্লাহপাকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পার্থিব জীবনের যাত্রা সমাপ্ত করেন। মৃত্যুকালে ব্যাংকে বা সিন্ধুকে টাকা কিংবা ট্রাংকে কোন গুপ্তধন রেখে যাননি। সুদৃঢ় ঈমান, কঠোর নৈতিকতা ও অদম্য সাহসিকতা দিয়ে আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থা তথা সমাজকে পরিচালনা করতে আজ প্রয়োজন মাস্টার রুহুল আমীন চৌধুরীর মতো নির্লোভ ও নির্মোহ ব্যক্তিত্ব। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁকে জান্নাতের সম্মানজনক মর্যাদায় আসীন করুন। আমিন।
লেখক: সাবেক অতি: সচিব (বাংলাদেশ সরকার)।