অনেকে শিরোনাম দেখে হয়তো ভ্রু কুঁচকে যাবেন, এ আবার কেমনে সম্ভব? চলুন জেনে আসি কেমনে পাবেন সড়কে বিমানের ছোঁয়া? বলছি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা এবং তিন চাকার ইজিবাইকের কথা। কাছাকাছি দূরত্বে কিংবা যেখানে বাস বা টেম্পু চলার উপক্রম নেই বিশেষ করে শহরের অলি–গলিতে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা রিকশা। এতদিন রিকশা বললে আমরা মূলত প্যাডেল চালিত কায়িক পরিশ্রমের যানবাহনকেই বুঝতাম। কিন্তু কয়েকবছর যাবৎ সবকিছুর পরিবর্তনের সাথে সাথে এই রিকশাতেও এসেছে আমূল পরিবর্তন। রয়েছে ভিন্নতাও। এদের মাঝে কিছু রিকশা ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা এবং কিছু রিকশা ইজিবাইক নামেও পরিচিত। প্যাডেল চালিত রিকশায় কায়িক পরিশ্রমের পাশাপাশি গন্তব্যে পৌঁছাতে হলে অনেক সময় ব্যয় করতে হয় যাত্রীদের গুনতে হয় অতিরিক্ত ভাড়া। অটোরিক্সা এবং ইজিবাইক বাজারে আসার ফলে যাত্রীদের ভোগান্তির পাশাপাশি ভাড়া যেমন কমিয়েছে ঠিক তেমনি সবচেয়ে বেশি অসুবিধায়ও ফেলেছে এই যানবাহনটি। সারাদেশে প্রায় ৩০ লাখ এবং চট্টগ্রামে অর্ধ লক্ষের কাছাকাছি অটোরিকশা থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে নেই কোনো ধরণের নীতিমালা। এই যানবাহনটি তিন চাকার হওয়ায় মূল সড়কে চলার কোনো বিধান নেই। অতি সম্প্রতি এসবের কোনো কিছু তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র চলাচল করছে এই যানবাহনটি। কোনো ট্রাফিক নিয়ম নীতি না মানার ফলে ঘটছে অসংখ্য দুর্ঘটনা যেখানে প্রাণহানি হলো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। তারপরেও কোন এক অদৃশ্য কারণে এই অটোরিক্সা বা ইজিবাইকের দৌরাত্ম্য যেন কমছেই না। সড়কে চলাচলের সময় অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় এই তিন চাকার গাড়ির গতি বেশি থাকার ফলে অনেকে এটিকে সড়কের বিমান নামেও অভিহিত করেছে। বর্তমানে সড়কে প্রশাসনের তেমন একটা নজরদারি না থাকার ফলে আরো বেশি মাত্রায় এই যানবাহনটি মাথাছাড়া দিয়ে উঠেছে। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে যাত্রী ও পথচারীদের সচেতনতার বিকল্প ছাড়া যেন করার কিছুই নেই।