রোড ক্র্যাশ অর্থাৎ সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে দক্ষতা বাড়াতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ৭৬ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপ (জিআরএসপি)। গত সোম ও গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরের রেডিসন ব্লু–তে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) এর কার্যক্রমের অংশ হিসাবে জিআরএসপি কর্মশালাটি পরিচালনা করে। দুইদিনব্যাপী কর্মশালার প্রথম দিনে একটি ব্যাচকে ‘রোড ক্র্যাশের অন্যতম ঝুঁকি গতি’ ও দ্বিতীয় দিনে অন্য ব্যাচকে ‘রোড ক্র্যাশ তদন্ত’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
কর্মশালায় পুলিশ কর্মকর্তারা রোড ক্র্যাশ প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের ভূমিকা, ক্র্যাশের ক্ষেত্রে যানবাহনের উচ্চ গতির ভূমিকা, গতি নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব, গতি নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি ও কৌশল এবং রাস্তার পাশের চেকপয়েন্টগুলির নিরাপদ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে জানতে পারেন। এসময় তারা হাতে–কলমে স্পিড ক্যামেরার ব্যবহারও শেখেন। দ্বিতীয় দিনের কর্মশালায় তারা রোড ক্র্যাশের যথাযথ তদন্ত পদ্ধতি এবং তদন্ত থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে ক্র্যাশ প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণ সম্পর্কে জানতে পারেন। একইসাথে তারা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, ঘটনার চিত্র ধারণ, আলামত বিশ্লেষণ ইত্যাদি বিষয়ে সম্যক ধারণা লাভ করেন। জিআরএসপির এশিয়া–প্যাসিফিক ম্যানেজার ব্র্যাট হারম্যান ও সিনিয়র রোড পুলিশিং অ্যাডভাইজর ড্যানিস ওয়াটসন কর্মশালাটি পরিচালনা করেন। গত সোমবার প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আসফিকুজ্জামান আকতার। কর্মশালায় তিনি যানবাহনের গতি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একটি সেশন পরিচালনা করেন। এসময় তিনি বলেন, রোড ক্র্যাশের অন্যতম প্রধান কারণ যানবাহনের বেপরোয়া গতি। যানবাহনের গতিসীমা বাস্তবায়ন করতে না পারলে রোড ক্র্যাশ কমানো যাবে না। এজন্য বিআরটিএ’র জারি করা গতিসীমা নির্দেশিকা অনুসারে সড়কে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্যদের অনুরোধ জানান তিনি। কর্মশালায় প্রথম দিনে ৩৬ জন এবং দ্বিতীয় দিনে ৪০ জন ট্রাফিক সার্জেন্ট, উপ–পরিদর্শক, পুলিশ পরিদর্শক, সহকারী পুলিশ কমিশনার ও অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনারগণ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালা শেষে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আসফিকুজ্জামান আকতার অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিআইজিআরএস চট্টগ্রামের এনফোর্সমেন্ট কো–অর্ডিনেটর কাজী হেলাল উদ্দিন, সার্ভেইল্যান্স কো–অর্ডিনেটর কাজী সাইফুন নেওয়াজ ও কমিউনিকেশন অফিসার মাহামুদুল হাসান।