জাতি আর দেশকে এগিয়ে নেওয়ার একমাত্র চাবিকাঠি বা মেরুদণ্ড হচ্ছে শিক্ষা। পাঠ্য শিক্ষার পাশাপাশি কবিতা, গল্প বই এবং খবরের কাগজ ছাড়া জ্ঞান আরোহন করা ভোটেও সম্ভব নয়। শিক্ষা ক্ষেত্রে যেমনটি সরকার জোড় দিয়েছে বিনামূল্যে বই বিতরণ, শিক্ষা উপবৃত্তি। সেই সাথে বিভিন্ন মানবিক প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন জনের স্মরণে বৃত্তি স্কুল কলেজে চালু হয়েছে যাতে করে গরীব মেধাবী বা মধ্যবিত্ত ছাত্রছাত্রী কোনো ভাবেই ঝরে না পড়ে। প্রচুর স্কুল সরকারিকরণ করেছেন। সরকার পুরাতন ভবন ভেঙে নতুন নতুন ভবন করে দিয়েছেন। এখন অনেক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। তাতে প্রযুক্তিগতভাবে সব সুবিধা রয়েছে। উন্নত বিশ্বের সাথে পাল্লা দেওয়ার জন্য শিক্ষার জন্য কিনা সরকার করছেন। সেই সাথে অভিভাবকদের ভীষণ চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে কে কত ভালো স্কুলে সন্তানদের পড়াতে পারে। অধিকাংশ মা বাবা নিজের সুখ, সখ ত্যাগ করে সন্তানদের পেছনে পেছনে দৌড়ে সব কিছু বিসর্জন দিয়ে চলেছে। সন্তানদের মানুষের মত মানুষ হওয়ার জন্য। ভাবতে অবাক লাগে, পৃথিবীতে একমাত্র মানুষের সন্তানকেই কষ্ট করে মানুষ করতে হয়! মা বাবাদের শুধু ভাবনা আমাদের সন্তান যেন সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়, সুশিক্ষিত হয়। এত কিছুর পরও সন্তানেরা কী, কিছুটা ভাববার সময় পায়? দেরীতে ঘুম থেকে উঠা, চাই ভালো খাবার, দামি মোবাইল, দামি পোশাক, মোটর সাইকেল, দামি সেন্ট যত আরাম আয়েশ। প্রাইভেট শিক্ষক বা কোচিং চাই তাও এলাকার বাইরে। যাতে করে ফাঁকি দিতে পারে এবং উচ্ছৃঙ্খল জীবন বেঁচে নিতে সহজ হয়। মা বাবা মোবাইল করে খবর নিলে উত্তরে বলে আজ একটু ক্লাস বেশি। অথচ ছেলে কফিশপে। সেখানে বন্ধু বান্ধবীদের সঙ্গে বিভিন্ন আড্ডায় জড়িয়ে। এরা ভুলে যায় মা বাবার স্নেহ আদর, ভালোবাসার কথা, স্বপ্নের কথা। পাশেই ডিসি হিল সেখানে গেটে নোটিশে লেখা আছে স্কুল কলেজে চলাকালীন ছাত্র ছাত্রীর প্রবেশ নিষেধ। কিন্তু কার কথা কে শুনে। প্রতিদিন অহরহ দেখা যায় স্কুল কলেজ পড়ুয়া (স্কুল কলেজের পোশাক পরা) বসে আড্ডা মারছে। বৃষ্টিতে ছাতা ধরে মুখামুখি জড়িয়ে কথপতন সহ অশালীন কাজে ব্যস্ত। তাদের লজ্জা সরম মোটেও নেই। ভয় ভেঙে গেছে। পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞান কতটুকু গ্রহণ করছে তা সময় বলে দেবে। তবে শিক্ষক এবং বড়দের সাথে কীভাবে কথা বলতে হয়, মা বাবার সাথে কীভাবে আচরণ করতে হয়, সম্মান করতে হয় তাও এরা জানে না। ইদানীং যেভাবে ছেলে মেয়েদের দৌরাত্ম্য ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড বেড়েছে তা কখনই কারো কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। মোবাইলে যতটুকু শিক্ষণীয় আছে তার চেয়ে খারাপ বেশি লক্ষ্য করা যায়। তাই ভালোটা গ্রহণ করা অতীব বাঞ্ছনীয়।