কর্ণফুলী নদীর ১০ ঘাটে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা বৈঠা বর্জন ও অবস্থান ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ‘কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন’-এর অন্তর্ভুক্ত সকল সংগঠন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন সভাপতি এস.এম পেয়ার আলী ও চরপাথরঘাটা ব্রিজ ঘাট সাম্পান চালক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের নেতাকর্মী ও চরপাথরঘাটার বিএনপি নেতা এম মঈন উদ্দিন চসিক প্রশাসক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সাথে দেখা করে পিটিশন দেওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
তাঁদের নির্ভরশীল সূত্র জানায়, নৌ ঘাটের সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রশাসক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম পূর্বের আদেশ বাতিল করে সদরঘাট, বাংলাবাজার ও অভয়মিত্র ঘাট পাটনিজীবী সমিতির মাঝিদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। এক ঘন্টার মধ্যে শিগগিরই নতুন আদেশ দেওয়া হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের মুখপাত্র বিএনপি নেতা এম মঈন উদ্দিন বলেন, ‘সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সাম্পান মাঝিদের বিজয় হয়েছে। বৈঠা বর্জন প্রত্যাহার করা হলো সকল ঘাটের যাত্রী পারাপার চালু হলো।’
প্রসঙ্গত, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন বিভাগীয় কমিশনারকে বংশগত সাম্পান মাঝিদের (পাটনিজীবী) থেকে পাঁচ ঘাটের নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় অপেশাদার ব্যক্তিদের কাছে হস্তান্তর বিষয়ে দেওয়া পরিপত্র বাতিল ও মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ পালন করার আবেদন করেন।
যেহেতু নদীতে যাত্রী পারাপারকারী সাম্পান ও সাম্পান মাঝি আবহমান কাল থেকে চট্টগ্রাম ও দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের প্রতীক। কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন ২৯ বছরের একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান।