কাগজে লেখা ছাপিয়ে এই ছাপানো কাগজের সমষ্টিকে সুবিন্যস্তভাবে সাজিয়ে একত্র করে সেলাই করে নানারকম মলাট দ্বারা আবৃত করতঃ প্রস্তুত করলে এটাকে আমরা বই, পুস্তক, গ্রন্থ, ইত্যাদি নামে নামকরণ করে থাকি।
বইয়ের মধ্যে বিদ্যার অর্ক স্বতঃস্ফুর্তভাবে সন্তর্পণে ছুটে বেড়ায় দিগ্িবদিক। পড়ার মধ্যে বই বেঁচে থাকে কাল থেকে কালান্তর। বই চির নবীন, সনাতন এবং চির তরুণ। একটি বই একবার পড়লে যা নজরে আসে পূনর্বার পড়লে আরো অনেক নতুন তথ্য দৃশ্যমান হয়, যা পূর্বে চোখে পড়েনি। মানুুষ মানুষকে ঠকাতে পারে কিন্তু বই তেমনটি করে না বরং মানুষের পরম বন্ধু হওয়ার জন্য এর সৃষ্টি। বইয়ের মাধ্যমে মানুুষ অজানাকে জানতে পারে। ঘুরে আসতে পারে সমুদ্রের গভীরে, সীমাহীন আকাশে, গহীন অরণ্যে, মানবহীন নির্জনতার ভিড়ে, কেউ কেউ আবার অসীমের সন্ধানে ও ছুটে আসতে চায়। কারো একবার বই পড়ার অভ্যেস হয়ে গেলে নিজে নিজেই সেই বই খোঁজে নেবে। তাইতো মার্ক টুয়েন, যিনি১৮৩৫ সালে আমেরিকায় জন্মেছিলেন। হাস্যরসিক সাহিত্যিকদের মধ্যে তিনি অগ্রে ছিলেন। আমেরিকার সুবিখ্যাত হাস্যরস সাহিত্যের জনক ছিলেন তিনি। দিনের অধিকাংশ সময় তিনি বইয়ের ভেতর ডুবে থাকতেন। কখন সকাল হচ্ছে, দুপুর এসে আবার চলে যাচ্ছে, কোনো হিসেব থাকতো না। বই পড়ার এই প্রবল আগ্রহ থেকেই তিনি একটা লাইব্রেরি স্থাপন করেছিলেন। যার বর্ণনা সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁর “সাহিত্যে খেলা”প্রবন্ধে আলোকপাত করেছেন।এই লাইব্রেরীতে লক্ষ্য করার মত বই ছিল। যেখানে মেজে থেকে ছাদ পর্যান্ত পা রাখার মত খালি জায়গা ছিল না। যে দিকে তাকায় বই আর বই। বই মানুষের জ্ঞানের রাজ্যকে সমৃদ্ধ করেছে, করেছে উজ্জল থেকে উজ্জলতর। বই পড়ে কেউ নিজের অজান্তে হেসে উঠে সবার সম্মুখে আবার নীরবে নিভৃতে চোখের জল ফেলে সবার অলক্ষে। বইয়ের মধ্যে নাই কি? এই প্রশ্নের উত্তর হয়তবা কারো কাছে নাই, তবে বেশিরভাগ পাঠক বই পড়ে জ্ঞানার্জন এবং আনন্দ লাভের আশায়। তাইতো প্রিয় পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ভাষায় বলতে পারি,”বই জ্ঞানের প্রতিক, বই আনন্দের প্রতিক।” ফটিকছড়ি প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় বইমেলা হচ্ছে ২৬,২৭,২৮ মার্চ ২০২১ ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ মাঠে। আমন্ত্রণ সবার জন্য।