রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে পানিতে ডুবে তিন শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার উত্তর পারুয়ার দক্ষিণ পাড়া গ্রামের আনু মিয়া হাজী বাড়ির স্থানীয় একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় এই তিন শিশু। তারা হলেন স্থানীয় মো. রাজুর মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১১), পাশের বাড়ির মো. কালু মিয়ার মেয়ে রুবিনা পারভীন হাবীবা (৭) এবং পারুয়া সাহাব্দীনগর গ্রামের প্রবাসী মো. নাসেরের মেয়ে জান্নাত আক্তার (১০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত সুমাইয়া ও জান্নাত আপন খালাতো বোন এবং নিহত হাবীবা সুমাইয়ার চাচাতো বোন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে জান্নাত তার মামার সাথে উত্তর পারুয়া গ্রামে তার খালার ঘরে বেড়াতে যায়। মামা আর বোন গল্প করার সময় দুই খালাতো বোন স্থানীয় মসজিদ পুকুরে গোসল করতে নামে। পরে তাদের সাথে যোগ দেয় শিশু হাবীবাও। গোসল করার একপর্যায়ে তাদের স্বজনরা ঘরে ফিরিয়ে আনলেও পরক্ষণে তারা আবারও সকলের অগোচরে পুকুরে নেমে তলিয়ে যায়। তাদের দেখতে না পেয়ে স্বজনরা পুকুরে গিয়ে দেখেন তিনজনই ডুবে ভেসে উঠেছে। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। একইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুমাইয়া ও হাবিবার এবং রাত দশটার দিকে সাহাব্দীনগরে জান্নাত আক্তারের নামাজের জানাজা শেষে তাদের লাশ দাফন করা হয়।
স্থানীয় মোহাম্মদ হারুন সওদাগর জানান, শিশুগুলোকে তাদের স্বজনরা পুকুর থেকে দুইবার ফিরিয়ে এনেছিলো। কিন্তু তারা আবারও সবার অজান্তে পুকুরে গিয়ে এই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। মাত্র ১৩ দিন আগে দুই খালাতো বোন সুমাইয়া আর জান্নাতের নানী মারা গিয়েছিলো। এর শোক কাটাতে ভাগ্নি জান্নাতকে নিয়ে বোনের বাড়ি এসেছিলো মামা লোকমান। পারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।












