স্বৈরাচারী হাসিনার পতন হলেও ভিন দেশীয় ইন্ধনে তাদের প্রেতাত্মা ও দোসররা বিচ্ছিন্নভাবে ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে নাশকতা সৃষ্টি করে বিএনপিকে দায়ী করার ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। এসময় জনগণকে সাথে নিয়ে সকল ধরনের নাশকতা প্রতিহত করতে বিএনপি প্রস্তুত রয়েছে বলে ঘোষণা দেন তিনি। গতকাল শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কাতালগঞ্জ নব পন্ডিত বৌদ্ধ বিহার, করুনাময়ী কালী বাড়ি ও রাধামাধব মন্দির পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।
মীর হেলাল বলেন, সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনার জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ খুবই প্রয়োজন। এখন সবাইকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয় এমন কোনো কাজ কেউ করতে পারবে না। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য। তিনি বলেন, ছাত্র–জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি বিশেষ মহল পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও উপাসনালয়গুলোতে হামলার অপচেষ্টা করে, বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের চেষ্টা করছে দুর্বৃত্তরা।
এরশাদ উল্লাহ বলেন, ছাত্র–জনতার আন্দোলনের কারণে আমাদের বিজয় অর্জিত হয়েছে। সেই বিজয়কে ধরে রাখার জন্য সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় সামাজিক নিরাপত্তাবলয় তৈরি করতে হবে। আমাদের পাশে যারা সংখ্যালঘু রয়েছেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের ওপর যে কোনো ধরনের আঘাত প্রতিরোধ করতে হবে। যে কোনো অপপ্রচার ও অপচেষ্টার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামবাসীকে সচেতন থাকতে হবে।
নাজিমুর রহমান বলেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নাগরিকদের সম্পদ ও ধর্মীয় উপসানালয়কে টার্গেট করেছে একটি চক্র। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার লক্ষ্যে সমাজকে বিভক্ত করাই এই মুহূর্তে তাদের ষড়যন্ত্র। জনগণের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টায়ও তারা মরিয়া হয়ে ওঠেছে। একইসঙ্গে এসব ঘৃণ্য অপরাধের দায় সুকৌশলে বিএনপির উপরে চাপানোর জন্য চেষ্টা করছে।
বিএনপি নেতারা নব পন্ডিত বিহারের অধ্যক্ষ ড. উপানন্দ মহাথের, রাধামাধব মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তরুন দাস গুপ্ত ভানু ও করুনাময়ী কালী বাড়ি মন্দিরের বিপ্লব চৌধুরীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে নিরাপত্তার সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা ভিন্ন ধর্মালম্বীদের মন্দির, বৌদ্ধ বিহার ও বাসাবাড়ি এবং বিরোধী মতের সবাইকে বিএনপির পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা কাজী বেলাল উদ্দিন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব ধর তমাল, মহানগর আহ্বায়ক অধ্যাপক ঝন্টু কুমার বড়ুয়া, সদস্য সচিব বাপ্পী দে, যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন দাস, রিপন দাশ, জীবন মিত্র, সুকান্ত মজুমদার, মহানগর বিএনপি নেতা সিহাব উদ্দিন মোবিন, শওকত আজম খাজা, সালাউদ্দীন কায়সার লাভু, মো. ইদ্রিস আলী, এম এ হালিম বাবলু, জাফর আহমেদ, আসিফ চৌধুরী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক নুরুল আলম শিপু, শরিফুল ইসলাম তুহিন।