সংশোধন করতে চায় বিসিক অংশীজনের সাথে মতবিনিময়

শিল্পনগরীতে প্লট বরাদ্দ নীতিমালা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) প্লটের অব্যবহার নিয়ে সমালোচনার অন্ত ছিল না। সেই সমালোচনা থেকে বেরিয়ে আসতে ‘বিসিক শিল্প নগরীতে প্লট বরাদ্দের নীতিমালা-২০১০’ সংশোধন নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছে বিসিক। ইতোমধ্যে দেশের সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রতিষ্ঠানের সাথে মতবিনিময় শেষে চট্টগ্রামের অংশীজনদের সাথেও বৈঠক করেছে সরকারি প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল রোববার সকালে নগরীর আগ্রাবাদ বিসিক আঞ্চলিক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। কর্পোরেশনের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিচালক মো. মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি এবং রিসোর্স পারসন হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিসিকের সাবেক পরিচালক মো. খলিলুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যবস্থাপক সৈয়দ বখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ। আঞ্চলিক কার্যালয়ের বিশেষজ্ঞ মো. রোকন উদ্দিন ও মুহাম্মদ নুরুল আবছারের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে নীতিমালার উপর ভিডিও প্রেজেন্টেশন দেন সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মল্লিক মোস্তাফিজুর রহমান। সভায় বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা নীতিমালার সংশোধন নিয়ে নানাবিধ বক্তব্য রাখেন।
সভায় বর্তমান নীতিমালার প্রজ্ঞাপনের ১৭নং ধারার মেরিনারিজ চালুর সময় বাড়ানো, পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যাওয়ার সময় ৪-৬ মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা, ওয়ান স্টপ সুবিধা নিশ্চিতের পদক্ষেপ নেওয়া, বিসিকের মূল স্লোগান নীতিমালায় সন্নিবেশ, উদ্যোক্তার সংজ্ঞা সন্নিবেশ করা এবং বিশেষ বিবেচনায় প্লটের আয়তন বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় রাখা হবে সেটা নির্দিষ্ট করে দেওয়া, বিসিকের স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী ঋণের সুযোগ তৈরি করা, প্লটের আয়তন বাড়ানো, ক্ষতিগ্রস্ত প্লটগ্রহীতাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাখা, আবেদনের সময় যৌক্তিক ফি নির্ধারণ করা, উদ্যোক্তাদের বাইরে প্লট বরাদ্দ না দেওয়া, যারা দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদনে যান না তাদের প্লট বাতিল, শিল্প কারখানার কমপ্লায়েন্স করতে সহযোগিতা নিশ্চিত, ক্ষুদ্রের পাশাপাশি মাঝারি শিল্পের উপর গুরুত্বের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট মতামত দেওয়া হয়।
সভায় রিসোর্স পারসন বিসিকের সাবেক পরিচালক মো. খলিলুর রহমান জানান, ‘নীতিমালাটি সংশোধনের বিষয়ে চলতি বছরের মধ্যেই সার সংক্ষেপ তৈরি করা হবে। এজন্য মূল অংশীজনদের মতামত নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এতে করে দীর্ঘদিন ধরে অপব্যবহার হওয়া প্লটগুলোকে একটি সুনির্দিষ্ট আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে এবং আগামীতে প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রেও সুফল পাওয়া যাবে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধমোস্তফা হাকিম কলেজ ছাত্রদলের কর্মীসভা
পরবর্তী নিবন্ধআগে বেগম জিয়াকে মুক্তি দিন তারপর নির্বাচনের কথা বলুন : ডা. শাহাদাত