জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের নতুন দফার আলোচনা বয়কট করে প্রথম দিন না এলেও দ্বিতীয় দিন জামায়াতে ইসলামী যোগ দেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। একই সঙ্গে বিএনপির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের একপক্ষীয় আচরণ নিয়ে ওঠা সমালোচনার বিষয়ে তার দাবি, বর্তমান সরকার সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে প্রেস সচিব জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের পর সাংবাদিকদের সামনে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে জামায়াতের সংলাপে অংশ না নেওয়া বিষয়ক প্রশ্নে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী আগামীকাল (বুধবার) যোগ দেবে। তাদের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। একদিন অনুপস্থিত থাকতেই পারে। আগামীকাল ভালোভাবে থাকবে। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারণ জানি না, তবে আগামীকাল আসবে। খবর বিডিনিউজের।
এ বিষয়ে বিকালে জানতে চাইলে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ এখনই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। এর আগে সকালে সংলাপে না আসার বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, আমরা অন প্রোটেস্ট আজকের বৈঠকে যাইনি। বুধবার বৈঠকে যোগ দেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, এটা এখনই বলতে পারছি না। আমরা আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
প্রথম দিনের বৈঠক শেষে প্রেস সচিব শফিকুলের কাছে প্রশ্ন ছিল লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের যৌথ বিবৃতি কারণে জামায়াত ক্ষুব্ধ হয়ে আসেনি বলে জামায়েতের নেতারা দাবি করেছেন। এ বিষয়ে আপনি কী বলবেন? জবাবে তিনি বলেন, আমরা এমন কিছু জানি না। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বিএনপির প্রতি একপাক্ষিক আচরণ করছে বলে জামায়াত ও এনসিপির উদ্বেগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, আমরা মনে করি আমরা সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা মেনটেইন করছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা অংশ নিয়েছে সবাইকে আমাদের অংশীজন মনে করি। আমার মনে হয় না যে এটা সত্য। আমরা সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতায় আছি। এক কথায় সব দিক থেকে আমরা নিরপেক্ষ। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সব দল ও পক্ষকেই সরকার সমান গুরুত্ব দিচ্ছে, কাউকে আলাদা করে দেখছে না।