বাঙালি হিসাবে আমরা যে যে পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি সে ধর্ম পালন করবো।মুসলিম পরিবারের সন্তান ভোরে নামাজ পড়বে, হিন্দু পরিবারের সন্তান পুজা করবে, বৌদ্ধ পরিবারের সন্তান পুজা করবে, খৃষ্টান পরিবারের সন্তান প্রার্থনা করে দিন শুরু করবে। বড়দের সম্মান করা ছোটদের ভালোবাসা শিখতে হবে। শিক্ষা হচ্ছে তপস্যার মত ছাত্রদের জন্য। খেলাধুলা সংস্কৃতি চর্চা বই পড়া করতে হবে। পাশাপাশি দেশকে ভালোবাসতে শিখতে হবে। দেশকে ভালোবাসলে দেশের মানুষকে ভালোবাসতে হবে। ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ক্ষমা আর বিনয় তৈরি করতে হবে। ধর্মের সঠিক নির্দেশনা দিতে হবে। মহামানবের জীবনী পড়তে দিতে হবে। নানা ধর্মের লোক যে যার ধর্ম পালন করবে একজনের উৎসবে আরেকজন আনন্দ ভাগ করবে। এগুলো পরিবার থেকে শিখাতে হবে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থানের কথা মদিনা সনদে লিখে গেছেন। আমাদের সন্তানকে সে শিক্ষা যথার্থভাবে দিতে হবে। অন্যধমের্র এক বৃদ্ধা তাঁর চলাচলের পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখতেন।একদিন পথে কাঁটা নেই দেখে তিনি সে বৃদ্ধার খোঁজ নিতে গেছেন। অত্যন্ত দয়ালু ছিলেন মহানবী (সাঃ)। তাঁর দরবারে সব ধর্ম ও মতের মানুষ আসতেন। তিনি সবার কথা মন দিয়ে শুনতেন। কখনো মানুষকে অশ্রদ্ধা করতেন না-একজন কবিকে মহানবী (সাঃ) খুব পছন্দ করতেন। আসলে যথেষ্ট আদর আপ্যায়ন করাতেন। সাহাবারা জিগ্যেস করলেন হুযুর পাক (সাঃ) আপনি এ লোকটাকে এত পছন্দ করেন কেন? উনি তো খোদাকে বিশ্বাস করেন না। হুযুরপাক (সাঃ) বললেন। উনি খোদাকে বিশ্বাস না করলে ও খোদা উনাকে ভালোবাসেন। কারণ খোদা উনাকে ভালোবাসেন বলেই উনি সৃষ্টিশীল। এসব বাণীগুলো প্রচারের মাধ্যমে আমরা মানুষের মধ্যে হিংসা বিভেদ দূর করতে পারবো। পরমতসহিষ্ণু হতে উৎসাহিত করতে পারবো। মানুষকে শ্রদ্ধা করতে শিখবো। যে ধর্মের হোক যে মতের হোক খোদার সৃষ্টি সকল জীবের প্রতি সদয় হতে হবে। মহানবী (সাঃ) এর সংযম ও সহিষ্ণুতার মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মের ও মতের মানুষের মনে তাঁর প্রতি যে ভালোবাসা স্থাপিত হয় তা সত্যিই বিরল। মহামানবের জীবনাদর্শ মানুষকে পরমত সহিষ্ণু ও সহনশীল হতে শেখায়। এদিকগুলো প্রচার করলে মানুষ মানুষের জন্য ইতিবাচক মনোভাব সম্পন্ন হবে। মানুষকে ভালোবাসা ভ্রাতৃত্ব বন্ধুত্ব এভাবে বাড়াতে হবে। এগুলো প্রচার করলে শিশুরা কখনো ভুলপথে যাবেনা। এ দেশে অনেক পীর দরবেশরা এসেছেন। শরিয়ত মারেফত যে যার ধারায় প্রচার করেছেন ধর্ম। সুফিধারা বৈষ্ণবধারাতে পরমাত্মার সন্ধান করে গেছেন। নবী (সাঃ) অন্যধর্ম বা মতের মানুষকে কখনো অসম্মান করেননি। একথাগুলো পরিবারের মধ্যে প্রচারের দরকার আছে। পরমতসহিষ্ণুতা ও সব ধর্ম ও মতের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। খোদার সৃষ্টি সকল জীবের প্রতি দয়াশীল সংযমী ও সহনশীলতা আমাদের সকলকে উদার হতে সাহায্য করবে আর ধীরে ধীরে আমরা মানুষ হিসেবে সমপ্রীতির শ্রেষ্ঠ নিদর্শন দেখাতে সক্ষম হবো। ভালোবাসা দিয়ে এগিয়ে যাবো আমরা। আমাদের সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে পরিবারের পাশাপাশি অনলাইন, অফলাইন সর্বত্র। মানবিকতায় উদ্ভাসিত হয়ে আগামি প্রজন্মকে এগিয়ে যেতে হবে। স্বপ্নের সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে এর বিকল্প নেই।