মালয়েশিয়ায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ‘সেকেন্ড হোম’ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ‘নথিপত্র’ ঘিরে যে আলোচনা তৈরি হয়েছে, তার সত্যাসত্য নিয়ে মন্তব্য করতে চান না পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা রাষ্ট্রপতির বিষয় হওয়ায় ‘খুবই সংবেদশনশীল’। সরকারের অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ থেকে খতিয়ে দেখতে বললে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে অনুযায়ী কাজ করবে। খবর বিডিনিউজের।
যুক্তরাজ্যপ্রবাসী অ্যাকটিভিস্ট জুলকারনাইন সায়েরের এক ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে বিদেশে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সম্পদ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা চলছে দুদিন ধরে। জুলকারনাইন সায়ের এক ফেসবুক পোস্টে বেশ কিছু নথিপত্রের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সেকেন্ড হোম রাষ্ট্রপতি’।
উপদেষ্টার কাছে এক সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, রাষ্ট্রপতির মালয়েশিয়ায় ‘সেকেন্ড হোম’ আছে বলে যে আলোচনা চলছে সেটি সত্য কি–না। সত্য হলে এটি সাংবিধানিকভাবে কতটা সঙ্গত। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওয়াকিবহাল কি না এবং ডকুমেন্ট যাচাই–বাছাই করা হবে কি না। উত্তরে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, এর সঙ্গে রিলেটেড (যুক্ত) কোনো কাজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের না। স্পেকুলেশনের (অনুমান) ভিত্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়তো কিছু করতে পারবে না।
এটা রাষ্ট্রপতির বিষয়। খুবই সেনসেটিভ (সংবেদনশীল)। এটা যথাযথ কর্তৃপক্ষ দেখুক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি যুক্ত হয়ও, শেষ পর্যায়ে গিয়ে হবে, আর তখন দেখা যাবে। এটা নিয়ে আমি আসলে কোনো কথা বলতে চাই না। এটার মধ্যে আইনগত দিক আছে, রাষ্ট্রপতির নিজের ব্যাপার আছে। এটা নিয়ে নাড়াচাড়া করা আমার কাজ না।
রাষ্ট্রপতি মালয়েশিয়ার নাগরিক কি না এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাই কমিশনের কাছে জানতে চাইবে কি না, এমন প্রশ্ন উপদেষ্টা বলেন, আমি স্পেকুলেশনের (অনুমানের) ভিত্তিতে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে জানতে চাইব না। ‘সেকেন্ড হোম’ থাকার পর কি রাষ্ট্রপতি হওয়া যায় কি–না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টাকে জিজ্ঞেস করুন।