ষাট দশকের ছাত্র আন্দোলনের অনির্বাণ দীপশিখাটি নিভে গেল

নাসিরুদ্দিন চৌধুরী | বৃহস্পতিবার , ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৮:৫১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদ ষাটের দশকের মধ্যভাগে চট্টগ্রামের ছাত্র রাজনীতিতে নক্ষত্রের দীপ্তিতে জ্বলে উঠেছিলেন। সেই থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক গগনে নক্ষত্রটি দিনে দিনে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়েছে এবং দুই হাজার তেইশ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসের পাঁচ তারিখ অব্দি মধ্যাকাশে মার্তন্ডের ন্যায় জ্বলজ্বল করছিলেন।

 

তারপর তিনি মানবজীবনের অনিবার্য গন্তব্য তাঁর প্রভুর কাছে প্রস্থান করেন। আমি জানি ষাটের দশকের ছাত্রনেতা প্রফেসর শায়েস্তা খান, আবু মোহাম্মদ হাশেম, ছাবের আহমদ আজগরী, অধ্যক্ষ ফজলুল হক, সালাহউদ্দিন মাহমুদ, কাজী এমএ ওহাব, কাজী শামছুর রহমান, শেখ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, কলিমউল্লাহ চৌধুরী এখনো বেঁচে আছেন, কিন্তু তাঁরা রাজনীতিতে আর সক্রিয় নন। শুধু অ্যাডভোকেট হাশেম ভাই ও ওহাব ভাই এখনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। ওহাব ভাই তো রাউজানে আওয়ামী লীগের প্রধান নেতা।

পাকিস্তান আমলে যাঁরা স্টেশন রোডের রেস্ট হাউসকে (বর্তমানে মোটেল সৈকত) কেন্দ্র করে রাজনীতি করতেন, তাঁদের মধ্যে একমাত্র মোছলেম ভাইই রাজনীতির ধারাবাহিকতা বজায় রেখে টিকে ছিলেন। স্বাধীনতার পূর্বে শহর ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুন ভাই (আবদুল্লাহ হারুন) বেঁচে আছেন, কিন্তু রাজনীতিতে সক্রিয় নন। বলতে হয় রেস্ট হাউসের প্রতিনিধি হারিছদা (মোহাম্মদ হারিছ), নুর মোহাম্মদ ভাই (নুর মোহাম্মদ চৌধুরী), বদি ভাই (শাহ বদিউল আলম), নঈমুদ্দিন ভাইরাও (নঈনুদ্দিন চৌধুরী) বেঁচে আছেন; কিন্তু নঈমুদ্দিন ভাই ছাড়া অন্যদের সাংগঠনিক অস্তিত্ব নেই বললেই চলে।

তবে জহুর আহমদ চৌধুরীর পুত্র মাহতাব ভাই অসুস্থ শরীর নিয়েও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির ভার বহন করে চলেছেন, তিনি পুরোপুরি ফিট থাকলে তাঁকে কেন্দ্র করেই হয়তো রেস্ট হাউসকেন্দ্রিক সিটি’র রাজনীতি আবর্তিত হতো। যদিও এখনো তাঁর বাসা নগর আওয়ামী লীগের অঘোষিত কার্যালয় রূপে ব্যবহৃত হয়। শফর আলীও রেস্ট হাউসকে প্রদক্ষিণ করে রাজনীতি করতেন, কিন্তু তিনি বহু বছর ধরে ট্রেড ইউনিয়নে তাঁর রাজনীতির পথ খুঁজে নিয়েছেন।

মোছলেম ভাই যেভাবে রাজনীতিতে ডুবে থাকতেন, তাঁরা কেউ সেভাবে নেই। মোছলেম ভাই রাজনীতিক জীবনে এমনভাবে ধারণ করে ছিলেন যে, রাজনীতি তাঁর জীবনকে গ্রাস করেছিলো। এক কথায় তাঁর জীবন রাজনীতিময় হয়ে উঠেছিলো।

সেই জীবনে রাজনীতিটাকে এমনভাবে আত্মস্থ করেছিলেন যে, জীবনে আর কোনদিন রাজনীতি থেকে তিনি বিচ্যুত হননি। সেজন্য আমি তাঁকে ষাট দশকের ছাত্র রাজনীতির অনির্বাণ দীপশিখা বলেছি। অন্যরা যেমন তাঁদের জীবনের একটা পর্যায়ে রাজনীতি থেকে সরে গেছেন, রাজনীতি ছেড়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়েছেন, মোছলেম ভাই কখনো তেমনটা হননি। মোছলেম ভাই আমৃত্যু রাজনীতি মধ্যেই জীবন যাপন করেছেন।

মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের ওপর যবনিকা নেমে এসেছে। অন্যরা যখন নিভে গেছেন, মোছলেম ভাই তখনো প্রজ্বলন্ত অগ্নিশিখার ন্যায় আলো ছড়িয়ে যাচ্ছিলেন।

মোছলেম ভাই সবার আগে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং প্রতিরোধ যুদ্ধ পরিচালনা করতে গিয়ে ২৭ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। তাঁর সঙ্গে মহিউদ্দিন চৌধুরী, ইউনুসও ছিলেন। প্রতিরোধ যুদ্ধে লিপ্ত ইপিআরএর জন্য রসদ সরবরাহ নিয়ে যাওয়ার সময় স্টেডিয়ামের পূর্বদক্ষিণ কোনায় নেভাল কমান্ডারের বাসভবনের সম্মুখে ওঁৎ পেতে থাকা পাকিস্তানি নৌ কমান্ডোদের অ্যামবুশে পড়ে ধরা পড়েছিলেন।

অনেক অত্যাচারনির্যাতনের পর তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। দু’আড়াই মাস কারাগারে মানবেতর জীবন যাপন করার পর তারা একদিন পাগলের অভিনয় করে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। মোছলেমউদ্দিন অবিরাম রাজনীতিতে নিয়োজিত থাকার ফলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ক্লান্তি, বিরক্তি, এমনকি একঘেঁয়েমিও আসতে পারতো। শক্ত মনোবলের অধিকারী না হলে হতাশার শিকার হলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকতো না।

কিন্তু মোছলেমউদ্দিনের ক্লান্তি নেই, শ্রান্তি নেই, বিরাম নেই; সেই যে ১৯৬৪ সালে মুসলিম হাইস্কুলের ছাত্র থাকা অবস্থায় রাজনীতি আরম্ভ করেছিলেন, সেই রাজনীতির ওপর দু’দিন আগে পর্যন্ত স্থির, অটল, অবিচল ছিলেন। তাঁর সময়কাল যে সব সময় আওয়ামী লীগের জন্য সুদিন ছিলো তা তো নয়। কখনো গ্রীষ্ম, কখনো বর্ষা, কখনো হেমন্ত, কখনো বা শীতে জবুথবু কম্পমান হয়েছেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সময়ে মাত্র সাড়ে তিন বছর আর ২০০৮ থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান শাসনকালএই তো সুদিন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির বসন্তকাল।

কিন্তু মোছলেমউদ্দিন কখনো আওয়ামী লীগের হাল ছাড়েন নিব্যতিক্রমহীনভাবে সর্বাবস্থায় তাঁর কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছে আওয়ামী লীগের স্তুতিগান, ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি। এমন নেতা গোটা চট্টগ্রামে খুঁজেও দ্বিতীয়টি পাওয়া যাবে না।

সত্যিই তিনি চট্টগ্রামের আওয়ামী রাজনীতিতে নিঃসঙ্গ শেরপা। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে মেঠো পথে ক্ষেতখামারে আলপথে জনসভার ভাষণে, মিছিলে উচ্চকিত স্লোগানে রাজনীতির গোল্ডেন জুবিলি পার করে দিয়েছেন একজনই তো মোছলেম ভাই। তাঁর মত এত ত্যাগ, এত সংগ্রাম, এত সংগঠন, এত রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ আর কেউ করেছেন বলে আমার জানা নেই যাঁরা এম এ আজিজের দপ্তর ১২০ আন্দরকিল্লা জেলা আওয়ামী লীগকে প্রদক্ষিণ করে রাজনীতি করতেন, তাঁদের মধ্যেও মোছলেমউদ্দিনই ছিলেন বিশ শতকের ষাট দশক থেকে একুশ শতকের দ্বিতীয় দশক পর্যন্ত একমাত্র সক্রিয় রাজনীতিবিদ। দলাদলির কথা বাদ দিলেও সত্যের খাতিরে তো বলতেই হয়, এক সময় আওয়ামী রাজনীতিতে সিটিডিস্ট্রিক্ট বিভাজন ছিলো।

এক বৃন্তে দুটি ফুলের মতো চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগরূপী বৃক্ষ থেকে দুটি পুষ্প প্রস্ফুটিত হয়েছিলোএকটি জেলা সম্পাদক এম এ আজিজ, অন্যটি শহর সম্পাদক জহুর আহমদ চৌধুরী। ১২০ আন্দরকিল্লা এমএ আজিজের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ছিলো ডিস্ট্রিক্ট পলিটিঙের মূল আধার, স্টেশন রোডের রেস্ট হাউসের ২৩নং কক্ষ জহুর আহমদ চৌধুরীর সিটি পলিটিক্সের হেডকোয়ার্টার।

মোছলেম উদ্দিন সিটি গ্রুপে যুক্ত থেকেই রাজনীতি করতেন। তিনি তখন ছাত্রলীগ নেতা। সিটিতে ছাত্রলীগের মূল নেতৃত্বে ছিলেন মৌলভী সৈয়দ ও মহিউদ্দিন চৌধুরী; তাঁদের ছায়াতেই মোছলেম উদ্দিন তাঁর নেতৃত্ব গড়ে তোলার প্রয়াস পেয়েছিলেন।

কধুরখীলের কাজী নকী সাহেবের বংশের সন্তান মোছলেম উদ্দিন সমাজসেবা করবেন না তা তো হয় না। সে কথারই সত্যতা প্রমাণ করতেই বোধ করি আমরা দেখলাম, স্বাধীনতার পর ছাত্রনেতা মোছলেম উদ্দিন হয়ে গেলেন দু’দুবার লালখান বাজার ওয়ার্ডের মিউনিসিপাল কমিশনার।

কিছুটা জ্যেষ্ঠ বা সমসাময়িক ছাত্রনেতাদের মধ্যে মোছলেম উদ্দিনের সিদ্ধি ও সাফল্য সর্বাধিক। ৭০ সালে কিছুদিন শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার পর ১৯৭২ সালে তিনি ছাত্রলীগ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। মোছলেম উদ্দিন আহমদ ১৯৭২ সালে ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সভাপতি ছিলেন জসিম উদ্দিন আহমদ খান (অ্যাডভোকেট)

রাজনীতি করতেন শহরে; কিন্তু পঁচাত্তরের পরে গ্রামে যখন আওয়ামী লীগের চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেল এবং দু’তিন বছর পরে দল পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় দলের মধ্যে যখন নেতৃত্বের শূন্যতা পরিলক্ষিত হলো, তখন দলের স্বার্থে তিনি অপশন দিয়ে গ্রামে অর্থাৎ দক্ষিণ জেলাকে বেছে নিলেন তাঁর ভবিষ্যৎ রাজনীতির ক্ষেত্র হিসেবে। আর কখনো তিনি শহরের কর্মক্ষেত্রে প্রত্যাবর্তন করেননি। তারপর মোছলেম ভাই দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং শেষে সভাপতি হয়ে দক্ষিণের আওয়ামী পরিবারের অভিভাবক হয়ে গিয়েছিলেন।

মোছলেম উদ্দিন আহমদ শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, তাঁর মধ্যে একটি সৃষ্টিশীল সত্তাও রয়েছে। ছাত্রজীবন থেকে তিনি সাহিত্যচর্চার সাথে যুক্ত; রাজনীতির ফাঁকে লেখালেখি করতেন। তাঁর রাজনৈতিক ধারার বেশ কিছু প্রবন্ধ পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

ছাত্রলীগের বিভিন্ন সাময়িকী প্রকাশনার ব্যাপারে তিনি উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতেন। ১৯৭০ সালে ‘জয় বাংলা’ নামে একটি সাময়িকী তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তার বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রবন্ধও প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত ‘সাহসী ঠিকানা’ নামে একটি সাপ্তাহিকের তিনি ছিলেন প্রকাশক ও সম্পাদক। তবে আবারও বলতে হয়, তিনি একজন সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।

মোছলেমউদ্দিন ১৯৪৮ সালের ১ জুন বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম কধুরখীল গ্রামের কাজী মোহাম্মদ নকী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মোশাররফ উদ্দিন আহমদ ও মাতা রওশন আরা বেগম। মোছলেম উদ্দিন জীবনে তিনবার কারাবরণ করেন।

প্রথমবার মুসলিম হাইস্কুলে শিক্ষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে কারাবরণ করেন। দ্বিতীয়বার শহীদ মৌলভী সৈয়দের নেতৃত্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিরোধ সংগ্রামে অংশগ্রহণের অপরাধে ১৯৭৬ সালে কারাবরণ। তৃতীয় দফায় স্বৈরাচারী এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে ১৯৮৭ সালে কারা নির্যাতন ভোগ করেন।

মোছলেমউদ্দিন ১৯৬৭ সালে চট্টগ্রাম সরকারি মুসলিম হাইস্কুল থেকে এস, এস, সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে ভর্তি হন। উক্ত কলেজ থেকে ১৯৬৯ সালে এইচ, এস, সি এবং ১৯৭২ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়াশুনার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ১৯৭৬ সালে কৃতিত্বের সাথে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

চট্টগ্রাম সরকারি মুসলিম হাইস্কুলে পড়াশুনা করার সময় বাঙালি জাতীয়তাবাদী আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগে যোগদান করেন। ছাত্রলীগে যোগদান করেই তিনি সংগঠনের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে থাকেন। ফলশ্রুতিতে তিনি অল্পসময়ের মধ্যেই ছাত্রলীগের একজন একনিষ্ঠ ও নিবেদিতপ্রাণ সার্বক্ষণিক কর্মী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন।

এ সময় তিনি শিক্ষা আন্দোলনে কারাবরণ করেন। পর্যায়ক্রমে তিনি ছাত্রলীগের একজন প্রথম কাতারের নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন ।

মোছলেমউদ্দিন আহমদ প্রায় ৪৬ বছর (২০২০১৯৭৪=৪৬) ধরে গ্রামে রাজনীতি করার পর সর্বোচ্চ স্বীকৃতি পান ২০২০ সালে। সে বছর ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম৮ আসন থেকে উপনির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার আগে ওই আসনের সাংসদ মঈনুদ্দিন খান বাদল পরলোকগমন করলে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

লেখক : সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, সংস্কৃতি সংগঠক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশুদ্ধ বাংলা চর্চা করি, একুশের মর্যাদাকে সমুন্নত করি
পরবর্তী নিবন্ধকাল আজ কাল