প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশবাসী সবসময় তার দলের পাশে আছে। তাই আগামী সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। আমি ষড়যন্ত্রকে ভয় করি না। তিনি বলেন, সামনে আগামী নির্বাচন। আগামী নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তবে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ, জনগণ তাদের ম্যান্ডেট নিয়ে সবসময় আমাদের পাশে আছে। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল বুধবার সকালে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন। বারবার তার প্রাণনাশের চেষ্টা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বুলেট ও বোমার মুখোমুখি হয়ে তারা আজকের অবস্থানে পৌঁছেছেন। সর্বশক্তিমান আল্লাহ প্রত্যেক ব্যক্তিকে একটি কাজ দিয়েছেন এবং কাজটি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাকে রক্ষা করবেন। তিনি আরো বলেন, আমাকে রক্ষা করতে উপরে আল্লাহ আছেন আর মাঠে আমার দলের নেতাকর্মীরা আছেন। যখনই আমার ওপর কোন হামলা হয়, আমার দলের লোকেরা সবসময় আমাকে রক্ষা করে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২২ জন নেতাকর্মী নিহত হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, দলের লোকেরা তাদের জীবনের বিনিময়ে মানব–ঢাল বানিয়ে তার প্রাণ রক্ষা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল বিকেলে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় ঢাকা–ভাঙ্গা রেল সংযোগের উদ্বোধন ও ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ড. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে এক মহাসমাবেশে ভাষণ দেয়ার পর টুঙ্গিপাড়া পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রী তার ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তিনি ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত করেন। টুঙ্গিপাড়ায় রাত কাটিয়ে বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশবাসীকে উন্নত ও সুন্দর জীবন দেয়ার মাধ্যমে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষে তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমি জনগণের কল্যাণে সম্ভাব্য সব কিছু করছি।
তিনি তার টুঙ্গিপাড়া–কোটালীপাড়া আসনের জনগণকে বারবার ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করার জন্য ধন্যবাদ জানান, যদিও তিনি তাদের পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেননি কারণ, তাকে সারা দেশের কল্যাণ দেখতে হবে। তিনি বলেন, আমি আমার আপনজনদের হারানোর পরে দেশের মানুষ এবং আমার দলের নেতা–কর্মীরাই আমার স্বজন। তিনি বলেন, কাছের মানুষগুলো আমার পাশে না থাকলে সফল হওয়া সম্ভব হতো না।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও খাদ্য সংকটের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়াতে বলেন। তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনুন। আমাদের নিজেদের খাদ্য নিজেরাই উৎপাদন করতে হবে।