দিল্লি শিবিরে লড়াইটা পৌঁছে দিয়েছিলেন ইয়ন মর্গ্যান ও রাহুল ত্রিপাঠী। ২২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২২ রানের ভিতরেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল কেকেআর। সেখান থেকেই পাল্টা লড়াই শুরু করলেন ইংরেজ অধিনায়ক এবং এবারের আইপিএলে প্রথম খেলতে নামা রাহুল ত্রিপাঠী। মর্গ্যান করলেন ১৮ বলে ৪৪। একটি চার ও পাঁচটি ছয় মারলেন। তার মধ্যে রাবাডার এক ওভারে তিনটি ছয়। রাহুল ত্রিপাঠীর অবদান ১৬ বলে ৩৬। তিনটি চার ও তিনটি ছয় দিয়ে সাজানো ইনিংস। কিন্তু কেকেআরকে জেতানোর জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। ২০ ওভার শেষে নাইটরা থামল ২১০/৮ রানে। কলকাতা হারল ১৮ রানে।
টস জিতে এদিনও শুরুতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন কার্তিক। কিন্তু দিল্লি ব্যাটসম্যানরা কাউকেই রেয়াত করেননি। পৃথ্বী শ করলেন ৪১ বলে ৬৬। শিখর ধাওয়ানের সংগ্রহ ২৬। শুরুটা ভাল হওয়ার পর মারতে শুরু করেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। তিনিই ম্যাচের সেরা। করলেন ৩৮ বলে অপরাজিত ৮৮। ইনিংসে রয়েছে ৭টি চার ও ৬টি ছয়। ঋষভ পন্থ করলেন ১৭ বলে ৩৮। কেকেআর বোলারদের নিয়ে বলার কিছুই নেই। একমাত্র রাসেল কিছুটা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেন। পেলেন ২ উইকেট। দিল্লি শেষ করল ২২৮/৪ রানে।
জবাবে শুরু থেকেই কলকাতা চাপে। এদিনও রান পাননি সুনীল নারিন। শুভমান গিল করলেন ২৮। টপ অর্ডারে রান একমাত্র নীতিশ রানার। তাঁর অবদান ৩৫ বলে ৫৮। মারলেন ৪টি চার ও সমসংখ্যক ছয়। রাসেল আবার ব্যর্থ। দীনেশ কার্তিক আর কবে রান পাবেন তা কেউ জানে না। লড়াইটা করলেন মর্গ্যান ও ত্রিপাঠী। দিল্লির হয়ে অনরিচ নর্চজে পেলেন ৩ উইকেট। হর্ষল প্যাটেল পেলেন ২ উইকেট। এই জয়ের ফলে আরসিবিকে টপকে ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে এগিয়ে শীর্ষে চলে এল দিল্লি। আর কেকেআর নেমে গেল পাঁচ নম্বরে। দিল্লির কাছে টানা তিন ম্যাচে হারতে হল কলকাতাকে।