শেষ পর্যন্ত শ্রীলংকা সফরে যাওয়া হলোনা টাইগারদের। আশা জাগিয়েও বাতিল হয়ে গেল আরো একটি সিরিজ। ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে আবারো অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে টাইগারদের। অথচ এই সফরের জন্য মুশফিকুর রহীম, মুমিনুল হক, তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকাররাসহ প্রায় সব ক্রিকেটার প্রচুর ঘাম ঝরিয়েছেন। করোনার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে যেমন অনুশীলন করা যায় তারা সবাই তাই করার চেষ্টায় ছিলেন। দেশের বিভিন্ন স্টেডিয়ামে গত দুই মাস অনুশীলন করেছেন ৩৫–৩৬ ক্রিকেটার। শেষ পর্যন্ত কোচদের অধীনে ২৭ ক্রিকেটার নিয়ে ঢাকায় চলে দুই সপ্তাহের মত অনুশীলন । কিন্তু শ্রীলংকা সফর বাতিলের ঘোষণায় সবাই হতাশ।
অন্য সবার মত মন খারাপ টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকেরও। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক বলেন, প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম সবাই মিলে। প্র্যাকটিসও হচ্ছিল ভালই। সিরিজও হবে হবে করছিল। করোনার কারণে ক্রিকেটের বাইরে থাকার একটা অন্যরকম হতাশা ছিল, মনে করেছিলাম তা কেটে যাবে। আমরা লংকানদের সাথে সিরিজ দিয়ে আবার মাঠে ফিরবো। কিন্তু তা যখন হলো না তখন খুব খারাপই লাগার কথা। সবার মন খারাপ। খারাপ লাগছে। আমারও তাই।
তিনি বলেন ভেতরে রাজ্যের হতাশা এসে বাসা বাঁধলেও এ নিয়ে একদম হতাশায় মুষড়ে পড়ার কিছুই নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আমরা ঠিকই শ্রীলংকা যেতাম। এখন করোনায় উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণেই হবে হবে করেও সফর বাতিল হয়েছে। এটাতো আর কারো পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তাই খুব বেশি হতাশ হবার কিছু নেই। মোমিনুল বলেন সফর বাতিল হওয়ায় মন যতই খারাপ হোক না কেন, অনুশীলন চালিয়ে যাওয়াই হবে বড় কাজ। কোনভাবেই অনুশীলণ বন্ধ করা উচিৎ হবে না। আমি চাই প্রসেসটা যেন ঠিক থাকে। ক্রিকেট কেন জীবনের সব ক্ষেত্রেই একটি প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে এগুতে হয়। আমাদের উচিত প্রক্রিয়া ঠিক রেখে এগুনো।
তিনি বলেন আমরা যদি এই করোনকালীন সময়ে প্রক্রিয়া ঠিক রেখে অনুশীলন চালিয়ে যেতে পারি সেটাই মঙ্গল। কারণ এক সময় খেলাতো হবেই। করোনার এই ভয়াল রূপও সব সময় থাকবে না। এক সময় সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তার আগেও হয়ত আমাদের খেলতে হতে পারে। সেটা ঘরোয়া ক্রিকেট কিংবা আন্তর্জাতিক মঞ্চ যেখানেই হোক না কেন, তাই মাঠে ফেরার প্রস্তুতিটা নিয়ে রাখা দরকার।