প্রথম ধাপে আসন্ন ২৮ ডিসেম্বর সীতাকুণ্ড পৌরসভার নির্বাচন। প্রথম দিকে তেমন নির্বাচনী আমেজ না থাকলেও শেষ মুহূর্তে কাউন্সিলরদের প্রচারণায় জমজমাট হয়ে উঠেছে। প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত পৌরসভার অলি গলিতে প্রার্থীদের প্রচারণা চলছে। প্রতিটি পাড়া মহল্লায় ঝুলছে পোস্টার। ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম দলীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের নিয়ে উঠান বৈঠক ও মতবিনিময় করছেন। তবে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতায় মাঠে নামতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী (ধানের শীষ প্রতীক) বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মুনছুর। তবে যে কোনো ধরনের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচন অফিস।
পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড এলাকার সাইফুল ইসলাম নামে এক ভোটার বলেন, এ বছর প্রথম ভোটার হয়েছি। তবে এর আগের নির্বাচনগুলোও দেখেছি। অনেকেই নির্বাচনের আগে নানা ধরনের আশ্বাস দেন, কিন্তু ভোটে জেতার পর আর কোনো খোঁজ খবর নেন না। তাই এবার বুঝে শোনে সৎ প্রার্থীকে ভোট দিব।
শিবপুর এলাকার টুম্পা নামে এক নারী ভোটার বলেন, কোনো প্রার্থীর কাছে কোনো সময় টাকা পয়সার জন্য যায়নি। তবে যেই নির্বাচত হোক, তার কাছে একটাই প্রত্যাশা- যেন পৌরসভার উন্নয়নের কথা ভেবে তিনি কাজ করেন।
চৌধুরী পাড়া এলাকার দিনমজুর জামাল মিয়া বলেন, নির্বাচন এলে কাউন্সিলর-মেয়র প্রার্থীদের দেখা যায়। নির্বাচন শেষ হলে আর দেখা মিলে না। ফলে আমাদের ভোটের প্রতি দিন দিন অনীহা জন্মাচ্ছে। বিএনপির মেয়র প্রার্থী আবুল মুনছুর বলেন, আমার নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে। আমার কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। আমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। আমি নির্বাচন অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছি। ভোটাররা ভোট দিতে পারলে আমি জয় লাভ করব।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম বলেন, বিএনপির কাছ থেকে ভোটাররা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বলে তারা আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এর আগেও পৌরবাসীর ভালোবাসায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। আশা করছি এবারও তারা আমাকে হতাশ করবে না।
সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার বুলবুল আহমেদ বলেন, কিছু কিছু প্রার্থী আমার কাছে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেছেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। এছাড়া পৌরসভার নির্বাচনের জন্য প্রশিক্ষণ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছি এবং নির্বাচনের সকল মালামাল নির্বাচন অফিসে এসে পৌঁছেছে।