বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে খাগড়াছড়িতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর পেয়েছেন দীঘিনালার বেতছড়ির বাসিন্দা প্রীতিপূর্ণ চাকমা। বয়স পঞ্চান্নের বেশি। দিনমজুরির আয়ে সংসার চললেও মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না। ঘরের পাশের দুই শতাংশ জমিরও মালিকানা পেয়েছেন। ঘর পেয়ে তিনি বললেন, ‘অভাবের সংসার কোনো রকমে চলত। পরিবার নিয়ে থাকার মতো কোনো ঠাঁই ছিল না। পাকা ঘরের স্বপ্ন দেখলেও সামর্থ্য ছিল না। যে ঘরে থাকতাম বর্ষায় টিনের ফুটো দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ত। তবে এখন মজবুত ঘর পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ঠাঁই দিয়েছেন। আমার মতো আরো অনেকে স্থায়ী ঘর পেয়েছেন। উপজেলার বেতছড়ির মনির হোসেন বলেন ‘আমাদের পক্ষে এ রকম ঘর করা কখনো সম্ভব ছিল না। প্রধানমন্ত্রী ঘর দিয়ে আমাদের বসবাসের সুযোগ দিয়েছেন। এখন ঝড় বৃষ্টিতে আতঙ্কে থাকতে হবে না। ঘরের সামনের যে জায়গাটুকু রয়েছে তাতে শাক সবজি চাষাবাদও করতে পারব। এসব একদিন স্বপ্নের মত থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা বাস্তবায়ন করেছেন।’ খাগড়াছড়িতে এবার ১ হাজার ৯৬৩ গৃহহীন পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়েছেন। দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘরের সাথে শৌচাগার ও রসুই ঘর আছে। গতকাল রোববার (২০ জুন) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সারা দেশের ন্যায় খাগড়াছড়ির উপজেলা সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপকারভোগীদের মাঝে নবনির্মিত ঘর প্রদানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরপরই ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান কার্যক্রমের (দ্বিতীয় পর্যায়) আওতায় সদর উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরের চাবি ও বন্দোবস্তকৃত জমির দলিল হস্তান্তর করেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস। এসময় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ, খাগড়াছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শানের আলম, খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা মতিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ঘরের চাবি ও ভূমির কাগজ হস্তান্তর করেন সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। এসময় ১১২টি পরিবারকে ঘরের চাবি প্রদান করা হয়। এছাড়া জেলার মাটিরাঙা, মানিকছড়িসহ বিভিন্ন উপজেলায় গৃহহীনদের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়। জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ‘খাগড়াছড়ির ৯ উপজেলায় নতুন পাকা ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে দুস্থ, প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক ও পিছিয়ে পড়া মানুষকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরো ১৩ শতাধিক নতুন ঘরের কাজ চলমান রয়েছে।












