রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলার আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সাত সদস্যকে দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শেখ হাসিনার পাশাপাশি তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, ভাগ্নে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীও রয়েছেন এই তালিকায়। এর মধ্যে শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির অনুমতি দিয়েছে আদালত। বাকিদের বিরুদ্ধেও শিগগিরই আদালতে আবেদন করা হবে বলে দুদক কর্মকর্তাদের ভাষ্য। খবর বিডিনিউজের।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, তদন্তে যিনি সংশ্লিষ্ট বলে প্রতীয়মান হবেন, তার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বা অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তদন্ত কর্মকর্তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। তারা আইনি কাঠামোর মধ্যেই এসব পদক্ষেপ নিতে পারেন। দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে আবেদন করতে তারা ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় নথিপত্র তৈরি করতে শুরু করেছেন।
ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তখন থেকে তিনি সেখানেই আছেন। তার মেয়ে পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক অফিসের (ডব্লিউএইচওএসইএআরও) আঞ্চলিক পরিচালক। ওই দায়িত্ব পালনের জন্য তিনিও ভারতে রয়েছেন। আর বহু বছর ধরেই জয় থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে।
শেখ হাসিনা যখন ভারতে পালিয়ে যান, তার সঙ্গে তার বোন শেখ রেহানাও ছিলেন বলে শোনা গিয়েছিল। তবে এখন তিনি কোথায় আছেন, সে বিষয়ে হালনাগাদ কোনো তথ্য সংবাদমাধ্যমে আসেনি। রেহানার ছেলেমেয়েরা ব্রিটিশ নাগরিক। তাদের মধ্যে টিউলিপ ব্রিটিশ এমপি। রূপন্তীও লন্ডনেই থাকেন। অভ্যুত্থানের আগে ববি ঢাকায় ছিলেন। এখন তিনিও দেশের বাইরে বলে কর্মকর্তাদের ধারণা।