শুরু হচ্ছে ১ লাখ প্রিপেইড মিটার বসানোর কাজ

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৮:০৮ পূর্বাহ্ণ

মাস কয়েকের মধ্যে চট্টগ্রামে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার স্থাপন শুরু হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ের অভাবনীয় সাফল্যের পর দ্বিতীয় পর্বে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ২৪১ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ে এক লাখ গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। তবে প্রথম পর্যায়ে এলাকা ভিত্তিক গ্রাহকদেরকে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনা হলেও এবার আর তা করা হচ্ছে না। দ্বিতীয় পর্যায়ে নগরীর যে কোন এলাকার গ্রাহকই অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে প্রিপেইড মিটার কানেকশন নিতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে সিরিয়াল অনুযায়ী এক লাখ গ্রাহককে প্রিপেইড মিটার প্রদান করা হবে। ইতোমধ্যে গ্রাহকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, আবাসিক খাতে গ্যাসের অপচয় রোধ, চুরিসহ নানা অনিয়ম ঠেকাতে ২০১৭ সালের মে মাসে চট্টগ্রামে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়। শুরুতে নগরীর জামালখান, হালিশহর, চান্দগাঁও, কোতোয়ালী, খুলশী, নাসিরাবাদ, লালখান বাজার, আন্দরকিল্লা, চকবাজার, কাজীর দেউড়ি, পাঁচলাইশসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় ৬০ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হয়। জাপান সরকারের সাথে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় গ্রহণ করা ওই প্রকল্পে নগরীর উক্ত এলাকার ৬০ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। দুই বছর আগে সম্পন্ন হওয়া প্রকল্পটিতে ব্যাপক সফলতা মিলেছে। শুরুতে কিছুটা সংশয় থাকলেও ব্যবহারের পর ৬০ হাজার গ্রাহকই উচ্ছ্বসিত। চারশ’ থেকে পাঁচশ’ টাকা রিচার্জে একটি পরিবারের পুরো মাসের গ্যাসের ব্যয় মিটে যাওয়ায় নতুন করে অনেকেই প্রিপেইড মিটারের জন্য চেষ্টা তদবির করতে থাকেন। কিন্তু সুযোগ না থাকায় অনেকেই আর প্রিপেইড মিটারের সংযোগ পাননি।
গ্রাহক চাহিদা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের পর চট্টগ্রামে নতুন করে আরো এক লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের প্রাথমিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ২৪১ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কার্যক্রম আগামী মাস কয়েকের মধ্যেই শুরু করা হবে। নগরীর কোন বিশেষ এলাকায় না রেখে উক্ত ১ লাখ মিটার গ্রাহকদের আবেদনের ভিত্তিতে প্রদান করা হবে। আগে আবেদন করলে আগে মিটার পাওয়া যাবে এমন শর্তে ইতোমধ্যে অনলাইনে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। প্রত্যেক গ্রাহককে নিজ উদ্যোগে প্রতিটি চুলার জন্য আলাদা পাইপ লাইন টানার পাশাপাশি সব ধরনের বকেয়া পরিশোধ করেই কেবল আবেদন করা যাবে। আরো বেশ কিছু শর্ত রাখা হয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে প্রথম ১ লাখ গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটার প্রদান করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট একজন শীর্ষ কর্মকর্তা দৈনিক আজাদীকে জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, এই প্রকল্পের কার্যক্রম বহুদূর এগিয়েছে। আমরা সব কাজই গুছিয়ে এনেছি। এখন দুইটি টেন্ডার করে ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে কানেকশন দেয়া শুরু হবে। এরমধ্যে কিছু প্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয়ের জন্য একটি টেন্ডার এবং মিটার স্থাপনের জন্য অপর টেন্ডারটি আহ্বান করা হবে। আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ নগরীতে দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রি-পেইড মিটার স্থাপন শুরু হবে বলেও ওই কর্মকর্তা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদমন-পীড়ন চালিয়েও ছাত্রদের দমানো যায়নি
পরবর্তী নিবন্ধকুকুর বাঁচাতে গিয়ে টেক্সি খাদে