স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্র দৈনিক আজাদী, ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবদুল খালেকের স্বপ্নের সৃষ্টি। আজাদী এমন একটি পত্রিকা যা প্রথম স্বীকৃতি প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ আঞ্চলিক পত্রিকা হিসাবে গণ্য।
প্রতিষ্ঠাতা মহোদয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও চট্টলবাসীর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে আজাদী হাঁটি হাঁটি পা পা করে ৬৪ বছরে পদার্পণ করেছে। শুভ জন্মদিন আজাদী। অশেষ শুভকামনা। আমার চট্টগ্রামবাসী তোমাকে ভালোবেসে ঋদ্ধ। তোমাকে পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত। সুখে দুঃখে তোমার কাছে আশ্রয় নিই।
তোমাতেই নিজেদের চেনা সুরে ভাবনা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি। ভোর বেলা চায়ের কাপ হাতে নেওয়ার আগে তোমাকে হাতে নিই। পরম মমতায় পৃষ্ঠা উল্টাই। তুমি আমাদের নাগরিক জীবনের একটু নিঃশ্বাস নেবার জায়গা, ভালোলাগার স্থান, অমূল্য সম্পদ। তোমার হাত ধরে এই চট্টলায় জন্ম নিয়েছে কতো কবি–সাহিত্যিক, লেখক–সাংবাদিক ও কলম সৈনিক। তুমি চাটগাঁবাসীর অন্তরে থাকবে চিরঞ্জীব হয়ে। এ উজ্জ্বলতা শুধু তোমাকেই মানায়। এ অঞ্চলের জনগণের আস্থা, ভালোবাসা ও বিশ্বাসে আজ তুমি গরবিনী।
কী নেই তোমার পাতায়! শিশু–কিশোর, যুবক–বয়োজ্যেষ্ঠ, গৃহিণী– কর্মজীবী রমণী সকলের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন, যা রীতিমতো সম্মৃদ্ধ করেছে আমজনতাকে। সত্যচারিতায় আপন নির্যাসে উজ্জ্বল তুমি, চির তরুণ, চির প্রয়াস আর হৃদয়গ্রাহী সংবাদপত্র, তুমি মুক্ত তোমার নামেরই মতো।
আশীর্বাদ করি শত শত আয়ুষ্কাল পাও তুমি, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সুরভিত বার্তা পৌঁছে দাও ঘরে ঘরে, হও চিরস্থায়ী, চিরসবুজ, অদমিত। আবারও জন্মদিনের শুভকামনা। সেই সাথে তোমার অঙ্গনে, তোমার সাথে যাঁরা আছেন সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য একরাশ ভালোবাসা।