রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, শামসুর রাহমান, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, জসীম উদ্দিন, জীবনানন্দ দাশ, জয় গোস্বামী। না, এখানেই শেষ নয়। তালিকাটা আরও দীর্ঘ। সন্ধ্যাটা যেন সত্যিই কবিতাময় হয়ে উঠেছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি গ্যালারি মিলনায়তনে তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের শিল্পীরা দর্শককে নিয়ে গেলেন ভালো লাগার অন্য স্তরে।
‘শুদ্ধ হও, আপন আলোয়’ শিরোনামে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানের ১৫তম পর্বে আবৃত্তি করেন নির্বাচিত শিল্পীরা। আয়োজনে অংশ নেন আবৃত্তিশিল্পী মৌ দত্ত, সাফা মারওয়া, কারিশমা কবির ঐশী, মোহাম্মদ মুফরাত হোসেন এবং মেরিনা সুলতানা। মুজাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রামের কালচারাল অফিসার সৈয়দ আয়াজ মাবুদ। আবৃত্তিশিল্পী শারমিন মুস্তারী নাজুর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রাবণী দাশগুপ্তা। উদ্বোধক বলেন, কবিতা ও আবৃত্তি আমাদের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। তাই আপন আলোয় শুদ্ধ হতে চাইলে আমাদের বারবার কবিতার কাছেই যেতে হবে।
আয়োজনের শুরুতে একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মোহাম্মদ মুফরাত হোসেন। তিনি পরিবেশন করেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের শুধু কবিতার জন্য, বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সেই মানুষটি যে ফসল ফলিয়েছিল, কাজী নজরুল ইসলামের ১৪০০ সাল, রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মাংভূক পাখি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রান্তিক এবং সুকান্ত ভট্টাচার্যর রানার।
মুফরাতের পর মঞ্চে আবৃত্তি নিয়ে আসেন আবৃত্তিশিল্পী কারিশমা কবির ঐশী। তিনি পরিবেশন করেন জয় গোস্বামীর জলহাওয়ার লেখা, প্রণব ঘোষের টুনি, ছন্দা বিনতে সুলতানের তারামন বাঁচতে চায় এবং শামসুর রাহমানের ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯।
এরপর আবৃত্তিশিল্পী সাফা মারওয়া, মেরিনা সুলতানা ও মৌ দত্ত একে একে জীবনানন্দ দাশের নদী, সত্যেন্দ্রনাথ দত্তর চরকার গান, অর্জুন মিত্রর কেউ দেখেনা কালো হরিণ চোখ, সুলতান আহমদের বাজান, আর্যতীর্থর বিকর্ণ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ইচ্ছে, জহিরুল ইসলাম অনির চন্দ্রাবতীসহ বেশ কিছু কবিতা আবৃত্তি করে দর্শকশ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। অনুষ্ঠানটি নির্দেশনা দিয়েছেন আবৃত্তিশিল্পী শ্রাবণী দাশগুপ্তা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।