শুটকিতে কীটনাশকের ব্যবহার, ৮৭ শতাংশ নিরাপদ

| বৃহস্পতিবার , ১৫ মে, ২০২৫ at ৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ

দেশে উৎপাদিত শুটকিতে গড়ে ১৩ শতাংশ কীটনাশক ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ ৮৭ শতাংশ শুটকিই নিরাপদ। দেশে উৎপাদিত শুটকি নিয়ে এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। যে ১৩ শতাংশ শুটকিতে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, তাতেও রান্নার পর কীটনাশকের মাত্রা ও ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমে যায় বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। এছাড়া শুটকি লবন পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখলেও ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস পায়।

দেশে শীর্ষস্থানীয় সামুদ্রিক মাছের শুটকি উৎপাদিত হয় চট্টগ্রাম, কঙবাজার ও দুবলার চরে এবং স্বাদু পানির মাছের শুটকি উৎপাদিত হয় নাটোরের চলনবিল ও সুনামগঞ্জে। এসব স্থানের উৎপাদিত শুটকি নিয়ে এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

গবেষণায় আরো দেখা যায়, চট্টগ্রাম ও কঙবাজার এলাকার মানুষ সব থেকে বেশি খায় ছুরি শুটকি (চট্টগ্রাম ৫৭ শতাংশ ও কঙবাজার ৫৫ শতাংশ), অন্যদিকে চলন বিলের মানুষ টাকি শুটকি বেশি গ্রহণ করে (৩৭ শতাংশ)। আবার সুন্দরবনের দুবলার চর এলাকার মানুষের সবচেয়ে পছন্দের শুটকি হলো লইট্ট্যা শুটকি (৪৬ শতাংশ)। উপরের ৫টি স্থান থেকে মোট ৪০৫টি নমুনা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) আয়োজিত গবেষণার ফলাফল অবহিতকরণ সেমিনারে গবেষক দল কর্তৃক গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। গতকাল বুধবার রাজধানীর শাহবাগে নিজ কার্যালয়ে সেমিনারটির আয়োজন করে বিএফএসএ। বিএফএসএ’র সদস্য ড. মোহাম্মদ মোস্তফার সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জাকারিয়া। খবর বাসসের।

এতে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটএর চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড. মো. আরিফুল ইসলাম, প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটএর প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার ড. মো. নাজমুল বারী ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিএফএসএ’র সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব।

বিএফএসএ চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, ২০২২২৩ সালে ৭টি গবেষণা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়, তার মধ্যে এটি একটি। এখানে গবেষণার যেসব ফলাফল প্রকাশিত হয়, তা গবেষকের নিজস্ব বিষয়। এতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দায় নেই আর এটি দেশের সার্বিক চিত্রও নয়। বরং এটি সামান্য বিষয়। আমরা স্বল্প পরিসরে গবেষণা করি। সেখানে খারাপের মাত্রা বেশি পাওয়া গেলে, নির্দিষ্ট স্টেকহোল্ডারদেরকে বড় আকারে গবেষণার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, শুটকিতে কীটনাশক দিলে, তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এছাড়া, ভেজালের সংজ্ঞা নির্ধারণের ব্যাপারে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অনেক কিছুই সামাজিকভাবে অনিয়ম ও ভেজাল। সেটি প্রকৃত অর্থে কোন ভেজাল নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমির্জা ফখরুলের চোখের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে
পরবর্তী নিবন্ধপ্রক্রিয়াজাত খাবারের অতিরিক্ত লবণ বাড়াচ্ছে অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি