শীর্ষ আশেকে রাসুল মোহাম্মদ মহসিন-এর বিদায় ও আঞ্জুমান-জামেয়ার নবীন নেতৃত্ব

অভীক ওসমান | বৃহস্পতিবার , ১০ অক্টোবর, ২০২৪ at ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ

১৯৪৬ সালে ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেকের সাথে বার্মার আশেকেরাসুল হযরত ছৈয়দ আহমদ ছিরিকোটির (.) মোলাকাত হয়। তখন ছিরিকোট হুজুর একটা মসজিদে ইমামতি করতেন।

১৯৪৭ সালে বস্ত্রব্যবসায়ী হালিশহর নিবাসী আবুল বশর কোঅপারেটিভ ও ‘চিটাগাং আরবান কোঅপারেটিভে’র সেক্রেটারি আবদুল জলিলসহযোগে হুজুরকে চট্টগ্রাম আনেন। সে হিসেবে প্রথম খানকাহ কোহিনূর মঞ্জিল (১৯৩৮)। সেই থেকে বাংলাদেশে ‘জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া’র যাত্রা শুরু। ‘আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া’ উপমহাদেশের সমৃদ্ধ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। সৈয়দ তৈয়ব শাহ (রা.)-এর বাণী ছিলো, ‘মুঝে দেখ না চাহিয়ে ত্যো মাদ্রাসাকো দেখো।’ প্রখ্যাত গায়ক আতিফ আসলামগীত একটি নাত উদ্ধৃত করছি: ‘মুস্তফা জানে রহমত পে লাখো সালাম/শময়ে বজমে হেদায়েত পে লাখো সালাম/হাম গরিবো ক্যা আঁকা পে বেহদ দরূদ/হাম ফকিরো কী ছরবতে পে লাখো সালাম।’ আলা হযরত আহমেদ রেজা খানের কী বিনয়ী সাবমিশন। একবার ‘গরিব’, পরের বার ‘ফকির’ বলা হচ্ছে।

.

কোহিনূর প্রেসের প্রথম খানকাহ’র উত্থান দেখেছি। পরবর্তীতে এই খানকাহ বলুয়ার দীঘির নুর মোহাম্মদ আল কাদেরীর বাসভবনে স্থানান্তরিত হয়। পরে তা ষোলশহর জামেয়ার আলমগীর খানকায় স্থাপিত হয়।

.

সীতাকুণ্ডে আমার কর্মস্থলে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যখন দেখলাম আঞ্জুমানে রাহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইসপ্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন ইন্তেকাল করেছেন। তার এই আকস্মিক মৃত্যু আমাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। আমি তাৎক্ষণিকভাবে লিখলাম “গত শতাব্দীর নব্বই এর দশকের শুরুতে আমি জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের লেকচারার হিসেবে জয়েন করি। তখন জামেয়া মাঠে একটি অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় মুগ্ধ হয়ে আমাকে “মাসিক তরজুমান” পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে অতিরিক্ত একটি কাজ দেন। করোনার সময়েও গাউসিয়া কমিটির বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম নিয়ে তার সাথে নিয়মিত আলোচনা হতো। আঞ্জুমান কর্তৃক একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি স্বপ্ন দেখতেন। এই শীর্ষ আশেকে রাসুল এর ইন্তেকালে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। মহসিন ভাই চাইলেই পৈতৃক সূত্রে বা নিজে দেশের ট্রেডার বা ক্ষমতাসীন ব্যক্তি হতে পারতেন। কিন্তু তিনি আল্লাহর, রাসুলের এবং জামেয়ার নগণ্য খাদেম হয়েই রইলেন। জসনে জুলুসে, ঈদে মিলাদুন্নবীর মাসে, হুজুরদের চট্টগ্রাম নগরীতে উপস্থিতির সময় ইন্তেকাল করলেন। সূত্রমতে, দীর্ঘদিন যাবত সিনিয়র ভাইসপ্রেসিডেন্ট হিসেবে আঞ্জুমান ও জামেয়ার খেদমত করে আসছেন। এছাড়া জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের অন্তর্ভুক্ত চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ পুরো বাংলাদেশে মাদ্রাসা এবং তার সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানসমূহের দায়িত্ব তিনি সার্বক্ষণিকভাবে পালন করেছেন। সামপ্রতিক বছরগুলোতে আমি লক্ষ্য করেছি ডায়াবেটিস নিরাময়ের জন্য তিনি প্রায়ই হাঁটতেন এবং ঘর্মাক্ত হয়ে আঞ্জুমান অফিসে যেতেন। করোনাকালে ফ্রন্টিয়ার হিসেবে গাউসিয়া কমিটির যে অবদান তা আমি দুই কিস্তিতে দৈনিক আজাদীতে লিখেছিলাম। এর প্রেক্ষিতে মহসিন ভাইয়ের সাথে আমার টেলিফোনে আলাপ হতো। তিনি বলতেন, “আমরা অচিরেই একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল তৈরি করব। যেখানে সকল রোগব্যাধির চিকিৎসা পাবে সুন্নী মুরিদান ভাইরা। আমাদের আলাপ আলোচনায় রেলওয়ে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনসহ অন্যান্য জায়গাও দেখছিলেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে তার এই স্বপ্ন পূরণ হলোনা। সর্বশেষ এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার মারফতে জানা গেল যে, আন্তর্জাতিকভাবে একটি আন্তর্জাতিক চ্যারিটি ফান্ড গঠন করা হয়েছে যা লন্ডনে রেজিস্ট্রার্ড হবে এবং এখান থেকে সেবা করা হবে। আমরা আশা করব আগামীর নেতৃত্বেও মহসিন ভাইয়ের স্বপ্ন একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল চট্টগ্রামে তৈরি করবেন।

.

আমি আমার প্রকাশিতব্য আত্মজীবনী “আমি অকৃতী অধম” গ্রন্থে লিখেছি যে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষজন ক্ষুদ্র ব্যবসা, মামলামোকদ্দমা ও নানা কারণে লালদিঘিকে কেন্দ্র করে অবস্থান করতো। সেই হিসেবে ভাষাসৈনিক প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম ও মরহুম ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম চৌধুরীর নেতৃত্বে লয়েল রোডস্থ নবীমার্কেট গড়ে উঠে। সিনেমা প্যালেসের অপজিটে আব্দুল হালিমের ‘সিরিকোটি স্টোর’ নামে একটি দোকান ছিল। সে দোকানে আমরা শিক্ষার্থী অবস্থায় গেলে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়ার ক্ষুদ্র দানবাক্সটা দেখতে পেতাম। এই প্রথম আঞ্জুমান ও জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার সাথে পরিচয় হলাম। চন্দনাইশের পাঠানদণ্ডিস্থ আব্দুস সামাদ নামে এক বয়স্ক মুরিদ সেই দানবাক্স থেকে টাকা কালেকশন করতে আসতেন। সেখানে আমরা আইয়ুব আলী চৌধুরী, আব্দুল মান্নান সওদাগরসহ সিরিকোট দরবারের অনেক মুরিদানদের দেখতে পেতাম।

হযরত তৈয়ব শাহ হুজুর আমাদের চন্দনাইশের বরমা ইউনিয়নের কেশুয়ার গ্রামের বাড়িতে ২৩ বার গিয়েছেন। তিনি আমার শ্বশুর আলহাজ্ব আব্দুল হালিম চৌধুরীর বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন এবং দুপুরের খাবার খেয়েছিলেন। হুজুর যখন দ্বিতীয়বার গিয়েছিলেন দেখলেন আব্দুল হালিম চৌধুরীর বাড়ির কাছে শঙ্খ নদী ভাঙতে ভাঙতে অনেকটা কাছাকাছি চলে এসেছে। তখন তিনি মোনাজাত করলেন এবং দোয়া পড়ে নদীর দিকে ফুঁ দিলেন। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এরপর শঙ্খ নদীর ভাঙন বন্ধ হয়ে গেছে। এবং বর্তমানে শঙ্খ নদীর অবস্থান তার বাড়ি থেকে অনেক দূরে। এটি একটা স্প্রিচুয়াল ব্যাপার। আমার আত্মজীবনী গ্রন্থে সাধু শুক্লাম্বর এরও একটি মিথ বা স্প্রিচুয়াল ঘটনার কথা উল্লেখ করেছি যা শঙ্খ নদীর ভাঙন বন্ধ করেছে। কথায় আছে “বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর”। আমার আরেকটি বিষয়ও আশ্চর্যের বা স্প্রিচুয়াল মনে হচ্ছে সেটি হলো, আমি যখন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার লেকচারার তখন দৈনিক পূর্বতারা পত্রিকায় চিটাগং চেম্বার এর নিয়োগ বিজ্ঞাপন দেখি। সেখানে দেখলাম নিয়োগ দিয়েছে একজন ইকোনমিক রিসার্চ অফিসার ও একজন লাইব্রেরিয়ান। টিচার্স কমন রুমে মুফতি আল্লামা ওবায়দুল হক নঈমী, মাওলানা আবুল হাশেম (খুশবু হুজুর) আরো অনেকের সাহচর্যে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। টিচার্স কমন রুমে বসেই বিজ্ঞাপন পড়তে পড়তে টেবিলে চকখড়ি দিয়ে আমার নামের সাথে ইকোনমিক রিসার্চ অফিসার পদ সংযুক্ত করি। এরপরে আমি আবেদন করি এবং ইকোনমিক রিসার্চ অফিসার (এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি) হিসেবে চেম্বারে যোগদান করি। চেম্বারে চাকরির করার সময় ও আমি আঞ্জুমানের অফিসে যেতাম মহসিন ভাই, নুর মোহাম্মদ ভাই ও অন্যান্যদের সাথে দেখা হতো আড্ডা দিতাম বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতাম। তৈয়ব শাহ হুজুর আমাকে নিয়ে বলতেন, “আব্দুল হালিম কা দামাদ হ্যায় মাদ্রাসাকো বহুত খেদমত কিয়া দোয়া কিজিয়ে”। হুজুর দোয়া করতেন খুব সংক্ষিপ্তভাবে। পুণ্যবান মানুষের সংস্পর্শ পাওয়া আমার জীবনের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়।

.

আমার শ্বশুর সুন্নি তরিকার লোক। তিনি জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার ভক্ত ছিলেন, কমিটির সদস্য ছিলেন। তখন সেখানে দুটো পোস্ট খালি ছিল। একটা ইংরেজির লেকচারার আরেকটা বাংলা লেকচারার। আমি বাংলা লেকচারার এর আবেদন করে পরীক্ষা দিলাম। কমার্স কলেজের প্রয়াত অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম চৌধুরী। তিনি পরীক্ষা নিলেন, আহমেদ নেওয়াজ এর বাবা আবু মোহাম্মদ তবিবুল আলম এম.এ মালেক সাহেবের চাচা বোর্ডে ছিলেন। আমি সিলেক্ট হয়ে গেলাম এবং পড়ানো শুরু করলাম। ওখানে পড়ানো অবস্থায় আমি বিয়ে করি। জামেয়ার পাশেই একটা ছোট টিনশেডের বাসভবনে আমার স্ত্রীকে নিয়ে থাকতাম। একদিন একটা ধর্মীয় মাহফিল পরিচালনা ও সঞ্চালনা করছিলাম সেখানে আমার শব্দচয়ন ও বাচনভঙ্গি দেখে মাদ্রাসার মুখপত্র “মাসিক তরজুমান” এর নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মহসিন সাহেব। ওনার এই চাকরি দেওয়ার ফলে আমার আর্থিক সাশ্রয় হয়। ‘মাসিক তরজুমান’ এর দেওয়ানবাজারে অফিস ছিল সেখানেও আমি বসতাম। এই তরজুমানের বেশকিছু বিভাগের নামকরণ করলাম। এটার সম্পাদক ছিলেন প্রিন্সিপাল জালাল উদ্দীন আল কাদেরী আর আমি প্রথম নির্বাহী সম্পাদক। আমার পরে যিনি দায়িত্ব নিয়েছিল বর্তমান সুপ্রভাত বাংলাদেশ এর সাংবাদিক স.ম ইব্রাহিম।

.

আমার জানামতে, আঞ্জুমানের লিডারশীপ এরমধ্যে ছিলেন নুর মোহাম্মদ আলকাদেরী, উজির আলী সওদাগর, আলহাজ্ব আমিনুর রহমান (ডান্ডা হাজি), আকরাম খান, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম.এম. মালেকের চাচাশিল্পী আহমেদ নেওয়াজের বাবা আবু মোহাম্মদ তবিবুল আলম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি আমাকে পিতৃস্নেহ করতেন। তারসাথে জয়েন্ট সেক্রেটারি ছিলেন অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তিত্ব আব্দুল ওয়াহাব। ট্রেজারার ছিলেন পদ্মা অয়েলের সাবেক কর্মকর্তা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এম.. হাশেম (কবি ও উপসচিব মানজুর মুহাম্মদের শ্বশুর)। পরে বন্দর এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোহাম্মদ জাকারিয়া সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন। দিদার মারকেটস্থ আঞ্জুমান অফিসে আমি লক্ষ করেছি দানবাক্সের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের ওপর জোর দিয়েছিলেন। তার পুত্র আমার ছাত্র আবুল মহসিন মো: ইয়াহিয়া খান এখন জামেয়া গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান। পরবর্তীতে আলহাজ্ব সুফি মিজানুর রহমান, খাতুনগঞ্জের বিশিষ্ট অবাঙালি ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ নেতৃত্বে এগিয়ে আসেন। সূত্রমতে, প্রথমে নুর মোহাম্মদ আলকাদেরীর বড় ছেলে মোহাম্মদ হাসানকে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু কিছুদিন পর তার অপারগতা স্বীকার করলে মোহাম্মদ মহসিনকে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হয়। মহসিন ভাইয়ের জানাজা পূর্বে স্মৃতিচারণের সময় আমার জামেয়ার অনেক কলিগ যারা এখন বড় আলেম হয়েছেন। তার মধ্যে মুফতি সৈয়দ অছিয়র রহমান, মাওলানা সোলায়মান আনসারী, প্রধান ফকিহ আব্দুল ওয়াজেদ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। আব্দুল ওয়াজেদ বলছেন, “মহসিন সাহেব যখন দায়িত্ব নিচ্ছিলেন তখন তিনি নবীন যুবক। তাদের ব্যবসা বাণিজ্য যৌবনদীপ্ত জীবন দিয়ে অনেক কিছু করতে পারতেন। কিন্তু সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব পাওয়ার পরে তার আচার আচরণ সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে গেল”।

.

মোহাম্মদ মহসিন ভাইয়ের স্থলে নতুন নেতৃত্ব ও কমিটি এসেছে। সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সহ অপরাপর শূন্য পদে হুজুর কেবলা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মাদ ছাবের শাহ্‌ (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী) যোগ্য ব্যক্তিদের আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট ক্যাবিনেটের দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন হালিশহরস্থ তৈয়বিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার প্রেসিডেন্ট, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাবেক লায়ন গভর্নর আলহাজ মোহাম্মদ মনজুরুল আলম মনজু। জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মহিলা মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন পিএইচপির আলহাজ্ব সুফি মিজানুর রহমান এর পুত্র আলহাজ্ব আমির হোসেন সোহেল। আঞ্জুমান ট্রাস্টের প্রেস এন্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি হয়েছেন মরহুম মোহাম্মদ মহসিনের পুত্র মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন, ফাইন্যান্স সেক্রেটারি হয়েছেন আলহাজ্ব কমর উদ্দিন সবুর। সর্বশেষ আঞ্জুমান, জামেয়া ও গাউসিয়ার স্পোকসম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে এডভোকেট মোসাহেব উদ্দিন বখতিয়ারকে। এখানে একটি আধ্যাত্মিক সূচনা পাওয়া যায় আওলাদে রাসুল যোগ্য মানুষদের নমিনেট করেছে।

বর্তমান আঞ্জুমানের বাংলাদেশ প্রধান আলহাজ্ব মনজুরুল আলম মনজু আশেকে রাসূলদের উপমহাদেশের শীর্ষ সংগঠন নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন। তার জন্য আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুলের খেদমত করার জন্য একটা অপূর্ব সুযোগ। আমরা আশা করব তিনিসহ নিউ জেনারেশন লিডারশীপ দ্বারা আঞ্জুমান ট্রাস্টকে ও তার অন্তর্ভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা, মহিলা মাদ্রাসা, এতিমখানা, মাসিক তরজুমান) ও সংগঠন সমূহের সবকিছুতেই একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবেন। মহসিন ভাই যে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন তা যেন বাস্তবায়িত হয়। এছাড়াও তার আরেকটি স্বপ্ন ছিল মাসিক তরজুমান’কে দৈনিকে রূপান্তর করার সেটিও আশা করি বাস্তবায়ন করবেন। আমরা নবীন নেতৃত্বকে মোবারকবাদ জানাই।

লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক সচিবচিটাগং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আইন ও অধিকার
পরবর্তী নিবন্ধপলিথিন বন্ধের সিদ্ধান্ত এক মহৎ ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ