শীতেও কেন বিদ্যুৎ সংকট

পিডিবি বলছে, লোডশেডিং নেই

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ

তীব্র শীতের মধ্যে হঠাৎ বেড়েছে বিদ্যুৎ সংকট। গত দুই-তিন ধরে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া শুরু হয়েছে। গত আগস্ট-অক্টোবর মাসে বিদ্যুতের ভোগান্তির পর নভেম্বর থেকে এই সংকট ক্রমশ কমতে থাকে। নভেম্বর-ডিসেম্বরে বিদ্যুতের তেমন সমস্যা দেখা যায়নি। গত কয়েকদিন ধরে আবার বিদ্যুতের আসা-যাওয়া শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন, শীতের এই মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা কম। তারপরও বিদ্যুৎ সংকট কেন?

পিডিবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের তথ্য মতে, চট্টগ্রামে এখন কোনো লোডশেডিং নেই। চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে ৮১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এই মুহূর্তে চট্টগ্রামের চাহিদা রয়েছে ৮৭৭ মেগাওয়াট। অবশিষ্ট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিড থেকে আসছে বলে জানান পিডিবির সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।

কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্র জানায়, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের মধ্যে পানিস্বল্পতায় ৪টি ইউনিটই বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র একটি ইউনিট (২ নম্বর ইউনিট) থেকে মাত্র ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কাপ্তাই লেকের পানির পরিমাণ ছিল ৮৫ দশমিক ৬৩ মিনস সি লেভেল (এমএসএল)। লেকে রুল কার্ভ অনুযায়ী বর্তমানে পানি থাকার কথা ১০১.২১ এমএসএল। কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, পানির উপর নির্ভরশীল কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ পাঁচটি ইউনিটে দৈনিক ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। লেকে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় দেশের একমাত্র জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসেছে।

পিডিবি চট্টগ্রামে অঞ্চলের গত বৃহস্পতিবারের উৎপাদন এবং বিতরণ তালিকায় দেখা যায়, রাউজান ২১০ মেগাওয়াটের দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৪২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। গ্যাসের কারণে এখন দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে।

দোহাজারী বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৪৫ মেগাওয়াট, হাটহাজারী বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৩৩ মেগাওয়াট, ৫০ রিজেন্ট পাওয়ার প্লান্ট বন্ধ, ৫০ মেগাওয়াটের ইউনাইটেড পাওয়ার প্লাট থেকে ৫ মেগাওয়াট, ৩০০ মেগাওয়াটের জুলধা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৭২ মেগাওয়াট, ২৬ মেগাওয়াটের আরপিসিএল থেকে ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। বারাকা ৫০ মেগাওয়াটের পাওয়ার প্লান্ট থেকে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ১০০ মেগাওয়াটের এনার্জি প্যাক বন্ধ রয়েছে। ১০৫ মেগাওয়াটের শিকলবাহা বারাকা পাওয়ার প্লান্ট থেকে ৫১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ১০১ মেগাওয়াটের বারাকা কর্ণফুলী থেকে ৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ৩০০ মেগাওয়াটের ইউনাইটেড থেকে ২৮১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। কাপ্তাই ও টেকনাফ সোলার প্লান্ট দুটি বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ দিন থেকে। ১১৬ মেগাওয়াটের আনলিমা পাওয়ার প্লান্ট থেকে ৩৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী পলাতক
পরবর্তী নিবন্ধপাহাড়ি ঝিরিতে মিলল সাবেক কাউন্সিলর পুত্রের লাশ