নগরের অঙিজেন এলাকায় শীতলঝর্ণা খালের ওপর থাকা আরেকটি ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বায়েজিদ বোস্তামি সড়কে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল সংলগ্ন সড়কে অবস্থিত ব্রিজটির দুই পাশ দেবে গেছে। একইসঙ্গে দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে সড়কে ফাটলও দেখা দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টটি সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
এর আগে অক্সিজেন এলাকায় অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে শীতলঝর্ণা খালের উপর ৪৫ বছরের পুরনো একটি ব্রিজ ভেঙে যায়। এ ঘটনায় গতকাল চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। সংস্থাটির প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান সোহেলকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন– চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা এবং সিডিএর’র একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি। এছাড়া চসিকের সংশ্লিষ্ট জোনের নির্বাহী প্রকৌশলীকে করা হয় সদস্য সচিব।
এদিকে গতকাল চসিকের জনসংযোগ শাখা থেকে জানানো হয়, শীতলঝর্ণায় গত বৃহস্পতিবার যে ব্রিজ ভেঙেছে সেই শীতল ঝর্ণার উপরে আরো একটি ব্রিজে বড় আকারের ফাটল দেখা যাচ্ছে। ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল সংলগ্ন সড়কের উপর আরেকটি ব্রিজের দুই পাশে ইতিমধ্যে দেবে গিয়েছে। এছাড়া সেই অংশটি দাবার সঙ্গে সঙ্গে দুই পাশের মাটি সরে গিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে মেয়র উক্ত স্থান পরিদর্শন করে চসিকের প্রধান প্রকৌশলীকে এ ব্যাপারে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকৌশলগত সমাধান এবং ট্রাফিক বিভাগের সাথে সমন্বয় করে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমানসহ প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।
এদিকে ভেঙে যাওয়া ৪৫ বছরের পুরনো ব্রিজটি গতকাল পরিদর্শন করেন গৃহায়ন, গণপূর্ত ও শিল্প উন্নয়ন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। এসময় তিনি জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিকে পথচারী ও স্থানীয় জনসাধারণের সর্বোচ্চ সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দ্রুত সেতুটির নির্মাণের নির্দেশ দেন।