শিশুসহ দুইজন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তিন আসামি গ্রেপ্তার

সাতকানিয়া প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৭ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ

সাতকানিয়ায় শিশুসহ দুই জন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো আরিফুল ইসলাম মানিক (৩৫), আবদুর রহিম প্রকাশ ডালিম (৩৫) ও মোঃ মিজান (৩০)। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গত রবিবার দুপুরে সাতকানিয়ার এওচিয়ার পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গা এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে পাঁচ বছরের শিশু রাফি রাইয়ান ও সাংবাদিক এসএম কামরুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছিল। তারা দুই জনই এখন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন জানান, সাতকানিয়ায় শিশুসহ দুই জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি জেলা পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে। এ ঘটনায় জড়িত তিন আসামী পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে অবস্থান করার বিষয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশ মানিকছড়িতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আরিফুল ইসলাম সাতকানিয়ার এওচিয়ার উত্তর পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গার আবুল কাশেমের পুত্র, আবদুর রহিম প্রকাশ ডালিম একই এলাকার আইয়ুব আলীর পুত্র ও মোঃ মিজান আবদুস শুক্কুরের পুত্র।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আরিফুল ইসলাম মানিকের বিরুদ্ধে ৮টি, আবদুর রহিম ডালিমের বিরুদ্ধে ১০টি ও মিজানের বিরুদ্ধে ৭ মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের নিয়ে অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তার ও গুলির ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, আরিফুল ইসলাম মানিক এবং সাংবাদিক এসএম কামরুল ইসলামের মধ্যে দীর্ঘদিন এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

গত রবিবার সাতকানিয়ার এওচিয়ার পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে শামসুল ইসলাম পুতুনের দোকানে বসে গল্প করছিলেন দি ডেইলি ইভেনিং নিউজের চট্টগ্রাম ব্যুুরো প্রধান এসএম কামরুল ইসলাম। তখন একই এলাকার আবদুর রহিমের পুত্র শিশু রাফি রাইয়ান দাদার দোকানে চকলেট নিতে আসে। এসময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে শিশু রাফি ও সাংবাদিক এসএম কামরুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনার পরদিন সাংবাদিক এসএম কামরুল ইসলাম বাদি হয়ে সাতকানিয়া থানায় ৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। গুলিবিদ্ধ দুইজনই এখন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলামায় ৩৬ পরিবারকে ভূমি বন্দোবস্তি দেয়ার আশ্বাস
পরবর্তী নিবন্ধপ্রজনন মৌসুমে হালদায় বেড়েছে লবণাক্ততা