দিনে দিনে পশ্চিমাদের সস্তা প্রযুক্তি আর অপ্রয়োজনীয় বিলাসিতায় পুরো জাতি যেভাবে দিনকে দিন মেধাশূন্য হচ্ছে, যেভাবে হাস্যকর বিষয়গুলো হয়ে ওঠছে আমাদের নিত্যদিনকার চিন্তাভাবনার খোরাক, এভাবে চলতে থাকলে আমাদের জন্য খুবই আশঙ্কাজনক একটা অন্ধকার ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। হ্যাঁ, তখন আর ফেরার পথ থাকবে না। সেদিন দেউলিয়া হতে হবে মেধায়, চিন্তায়, নিজস্ব সংস্কৃতি আর বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞানচর্চায়। তাই সময় থাকতেই এসবের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষকে কঠোর সিদ্ধান্তে আসতে হবে। সঠিক কাউন্সিলিং, বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞানচর্চা কিংবা দেশীয় সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে ফিরিয়ে আনতে হবে শতভাগ বাঙালিয়ানা বৈশিষ্ট্য।
সঠিক সামাজিকীকরণের মাধ্যমে সন্তানের পূর্ণ মানসিক বিকাশে অভিভাবকদেরই সর্বপ্রথম দায়িত্ব নিতে হবে। শিশুর বড় হয়ে ওঠার প্রতিটা পর্যায়ে ঠিক করে দিতে হতে তার ব্যবহার, চলাফেরা, পড়ালেখা জ্ঞান আহরণ থেকে তার নিত্যদিনকার কাজকর্মও। তবেই সুদিন ফিরবে, বিপরীতে আমরা পাব একটা সুশিক্ষিত মেধাবী প্রজন্ম।