শিশুর সামাজিকীকরণের মুখ্য ভূমিকা পরিবারের

এস.টি.এফ. যূঁথী | শুক্রবার , ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৭:১৯ পূর্বাহ্ণ

শিশুর বেড়ে ওঠা, সৃজনশীলতা, অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ, মন মানসিকতা, হাসি, কান্না, দুঃখ, মনস্তাত্ত্বিক চিন্তা, আবেগ, অনুভূতি অনেকটাই নির্ভর করে পরিবারের ওপর। যখন একটি শিশু সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়, তখন সে নিজেকে তৈরি করে।আপন আলোয় তার পাখা মেলে ধরে। এখানে মুখ্য ভূমিকা পরিবারের। সেই সাথে শিশু ধীরে ধীরে নিজের একটি জগত তৈরি করতে শেখে। এখানে সে নিজের আবেগ, অনুভূতির ও কল্পনা শক্তি দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করে। কেননা এই ক্ষেত্রে পরিবার তাকে রক্ষণশীল, স্বাধীন ও আত্মপ্রকাশের চিন্তা করতে শিখিয়ে দেয়। পরিবার, পারিপার্শ্বিক সমাজ ব্যবস্থা তাকে এমন ভাবে তৈরি করে, যাতে সে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে উঠতে পারে। তাই, পরিবারের পারস্পরিক সহযোগিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, সামাজিক মনোভাব, শিশুর চিন্তা শক্তিকে বিকশিত করে। সামাজিক অবজ্ঞা, অবহেলা, শিশুর সকল বাধা দূর করে, সে নিজেকে মেলে ধরতে পারে। ধীরে ধীরে শিশু বাধাবিপত্তি গুলো কাটিয়ে সে সামাজিক হয়। তার সামাজিকীকরণ মনোভাব সৃষ্টি হয়। ফলে সমাজে সেই শিশু বিশেষ অবদান রাখতে পারে সেই সাথে ধীরে ধীরে সে সমাজ ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখে। এভাবেই শিশুরা পরিবার থেকেই সামাজিকীকরণ শেখে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিশু-বিশ্ব : তিন গুণীর সম্মাননা
পরবর্তী নিবন্ধআমরা ক্রমেই অমানবিক ও অসহিষ্ণু হয়ে উঠছি কেন