বর্তমানে মোবাইলের প্রতি শিশুদের আসক্তি দিন দিন বেড়েই চলছে। বেশির ভাগ শিশুই ব্যাপকভাবে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং ল্যাপটপ–সহ নানা ধরনের ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যবহার করে। এতে শুধু যে তাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় তা নয়, তাদের মানসিক স্বাস্থ্যেরও যথেষ্ট ক্ষতি হয়। তাঁরা নিজের মায়ের মাতৃভাষা শিখতে পারছে না ধীরে ধীরে বিদেশি ভাষা চর্চা করে। তাই পিতা–মাতার দেখা উচিত যাতে মোবাইল ফোন থেকে শিশুর দূরত্ব বজায় রাখে। কিন্তু ছোট থেকেই শিশুরা বড়দের সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে দেখে যার ফলে তাদের মাঝেও মোবাইল ব্যবহারের আগ্রহ বাড়ে। পাশাপাশি অনেক সময় খেতে না চাইলে ছোটদের মোবাইলে কার্টুন, রিল ইত্যাদি দেখিয়ে খাওয়ানো হয়। আবার বাচ্চা দুষ্টুমি করলেও তাকে এক জায়গায় বসিয়ে রাখার জন্যও তার হাতে বাবা–মা তোলে দেন মোবাইল ফোন। ধীরে ধীরে মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয় তারা। মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তি দিয়ে শিশুদের বাইরে খেলতে নিয়ে যান। সঙ্গে শিশুদের আঁকা, গান, পুতুলের মত বিষয়ও দেখাতে পারেন।
এতে তাদের সৃজনশীলতাও বৃদ্ধি পায়। শিশুদের সামনে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না। শিশুদের ইউটিউবে শিক্ষামূলক ভিডিও দেখতে দিতে পারেন। মুক্তস্থানে খেলার ব্যবস্থা করে দিন। মা–বাবা একটু সতেচন হলেই শিশুরা ভবিষ্যৎ সুন্দর।