শিশুদের মামলায় ভালোবাসার সাথে সেবা দিতে হবে

কর্মশালায় আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে জেলা জজ

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২১ মে, ২০২৩ at ৭:১৭ পূর্বাহ্ণ

জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান, জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমদ ভূঁঞা বলেছেন, আমরা প্রত্যেকে শিশুকাল অতিক্রম করেছি। শিশুরা অপরাধ করে না, তারা অপরাধে জড়িয়ে যায় কিংবা জড়ানো হয়। তাই তাদের সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই সংবেদনশীল হতে হবে।

গতকাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে শিশু আইন ২০১৩ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপণী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন। লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শিশুদের মামলাগুলোয় ভালোবাসার সাথে সেবা দিতে হবে।

স্ট্রেংদেনিং ক্যাপাসিটি অব জুডিসিয়াল সিস্টেম ফর চাইল্ড প্রোটেকশন ইন বাংলাদেশ (এসসিজেএসসিপিবি) প্রজেক্ট, ল এন্ড জাস্টিস ডিভিশন, এমওএলজেপিএ, ইউনিসেফ ও জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা এবং জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি চট্টগ্রাম এই কর্মশালার আয়োজন করে। ভারপ্রাপ্ত জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) শাহনেওয়াজ মনিরের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) রুবায়েত ফেরদৌস এবং শিশু সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে ইউনিসেফ বাংলাদেশের গৃহীত কার্যক্রম ও এসসিজেএসসিপিবি প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ চট্টগ্রাম ডিভিশনের চাইল্ড প্রোটেকশন অফিসার জেসমিন বি হোসাইন।

দুদিনব্যাপী আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে শিশুর বিচার ব্যবস্থা ও ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য বিষয়ক সেশন পরিচালনা করেন জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমদ ভূঞা। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে সেশন পরিচালনায় ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল৪ এর বিচারক মো. জামিউল হায়দার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল১ এর বিচারক মুরাদমাওলা সোহেল, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল৬ এর বিচারক মোহা. সিরাজুদৌল্লা কুতুবী, বিভাগীয় স্পেশাল জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমী।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীন ও জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি চট্টগ্রামের ৩০ জন প্যানেল আইনজীবী এবং ইউনিসেফ কর্মকর্তারা। দুই দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের শেষ দিনে প্রশিক্ষণার্থীদেরকে সনদপত্র প্রদান করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনাইক্ষ্যংছড়িতে ৩১ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করলেন বীর বাহাদুর
পরবর্তী নিবন্ধরোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সেন্টার পরিদর্শনে চীনা রাষ্ট্রদূত