নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ে সচেতনতা তৈরীর লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলা শিশু একাডেমির শিশু ও অভিভাবক সমাবেশ গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সিসিমপুরের হালুম, টুকটুকি, শিকু ও ইকরির অংশগ্রহণে ‘শিশুর ইন্টারনেট ও ডিভাইস ব্যবহার’ বিষয়ক সচেতনতামূলক কার্যক্রম দেখানো হয়। সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ’ প্রাক–প্রাথমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ে শিশুদের আনন্দের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে বিগত ১৮ বছর যাবৎ কাজ করে যাচ্ছে। সংস্থাটি ৩ থেকে ৮ বছর বয়সি শিশু, তাদের অভিভাবক যত্নকারী ও শিক্ষকদের জন্য বিভিন্ন উপকরণ তৈরী ও কর্মসূচি পরিচালনা করে থাকে।
যেখানে বিষয়বস্তু হিসেবে আছে ভাষা, বর্ণ, গণিত, স্বাস্থ্য পরিবেশ, জেন্ডার সমতা,ব্যক্তি ও সমাজের প্রতি তার দায়িত্ব–কর্তব্য, বৈচিত্র, অন্তর্ভুক্তি, অভিন্নত্ব এবং পারস্পরিক সম্মান প্রদর্শন ইত্যাদি। সম্প্রতি সংস্থাটি বিজ্ঞান, গণিত, প্রযুক্তি ও নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের আওতায় গল্পের বইয়ের পাশাপাশি অভিভাবকদের জন্য সিসিমপুর ও বিটিআরসি যৌথভাবে উন্নয়ন করেছে ‘শিশুর ইন্টারনেট ও ডিভাইস ব্যবহার’ বিষয়ক ম্যানুয়াল। এ প্রকল্পের আওতায় বিগত এক বছর যাবৎ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শিশু ও তাদের অভিভাবকদেরও এর নিরাপদ ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় সিসিমপুরের মাপেটদের সাথে শিশুরা ফটো সেসনে অংশ নেন।।বাংলাদেশ শিশু একাডেমি চট্টগ্রাম জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. মোছলেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও আবৃত্তি প্রশিক্ষক অ্যাডভোকেট মিলি চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মহাপরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ। বক্তব্য রাখেন ‘সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহ আলম, জেলা শিশু একাডেমির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নারগীস সুলতানা,সহকারী জেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার রিটন বড়ুয়া, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল–মামুন, সিসিমপুরের সেইফ ইন্টারনেট ও আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প কর্মকর্তা অনন্যা চাকমা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।