৮ মাস বয়সী শিশু সন্তানকে নিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইনে কক্সবাজারগামী ট্রেন থেকে হঠাৎ লাফ দিয়েছে এক দম্পতি। এ ঘটনায় শিশুটি মা-বাবা গুরুতর আহত হলেও মারা গেছে শিশুটি।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত আনুমানিক আটটার সময় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল রাইনের লোহাগাড়া সদর রশিদার পাড়ার পশ্চিমাংশে এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুর নাম হামদান (৮)। তার বাবা গুরুতর গুরুতর আব্দুর রাজ্জাক (২৫) কক্সবাজার জেলার প্রিয়াম খালী এলাকার সোলতান আমদের ছেলে। নিহত শিশর মা আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী লিজা আক্তার (২০)।
তারা বাঁশখালী গুনাগারী থেকে ১২ দিন ছুটি কাটিয়ে প্রবাল এক্সপ্রেসে করে শ্বশুর বাড়ি কক্সবাজারে যাচ্ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী রশিদার পাড়ার শেফায়েত নামের এক যুবক আজাদীকে জানান, আমরা সারাদিনের কাজ শেষে আমার বাড়ীর পশ্চিমে ট্রেনের পাশের চায়ের দোকানে চা খেতে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ অন্ধকারে কান্নাজড়িত কন্ঠে বাঁচাও বাঁচাও আওয়াজ শুনে দ্রুত আমরা এগিয়ে গিয়ে তাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় সেখান থেকে উদ্ধার করি।
পরে তাদের উপজেলা শহরের সাউন্ড হেল্থে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদেরকে দ্রুত লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে সেখানে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে দায়িত্বরত ডাক্তার।
নিহত শিশুটির মা জানান, বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছিলাম। ট্রেনে হঠাৎ আগুন লাগার একটি চিৎকার শুনতে পাই। এরপর কি করেছি আমার জানা নাই।
এ বিষয়ে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ডাক্তার শিমুল দত্ত আজাদীকে বলেন, গুরুতর এক শিশুসহ তিনজনকে নিয়ে আসা হয়। তবে শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। নিহতের পিতার অবস্থা আশংকাজনক। শিশুটির মায়ের অবস্থাও ভালো নয়, তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, ট্রেন থেকে ঝাপ দেওয়ার ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। আইনগত বিষয় প্রক্রিধীন রয়েছে।