নগরীর বায়েজিদে চারবছর আগে সিগারেট কিনে আনার নামে ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মো. আলমগীর হোসেন নামে এক আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল। একইসাথে ট্রাইব্যুনাল আসামিকে দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
গতকাল চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক জামিউল হায়দার আসামি আলমগীর হোসেনের উপস্থিতিতে এরায় ঘোষণা করেন। ওই অপরাধের সাথে জড়িত ৪৪ বছরের আলমগীর হোসেন কুমিল্লার মানিককান্দি গ্রামের মৃত ফজলু মিয়ার ছেলে। তিনি বায়েজিদ বাংলাবাজার ঢেবারপাড় এলাকায় থাকতেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁশুলি অ্যাডভোকেট এমএ নাসের আজাদীকে বলেন, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ যথাযথ তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন ও সাক্ষ্যগহণ পূর্বক একমাত্র আসামি আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারায় বিচারক আসামিকে উক্ত সাজা দেন।
এমএ নাসের বলেন, ২০১৬ সালের জুন মাসে বায়েজিদ বাংলাবাজার ডেবারপাড়ে সিগারেট কিনে আনার নামে ৯ বছরের শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসামি আলমগীর। পরবর্তীতে ভয় দেখিয়ে আরও কয়েক দফা ওই শিশুকে ধর্ষণ করে আসামি। একই এলাকায় পাশাপাশি বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকত শিশুটির পরিবার। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে আলমগীরের বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা (নং-২৪(৬)১৬) দায়ের করে। ২০১৬ সালে ১৮ জুলাই একমাত্র আসামি আলমগীর হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. আব্বাস হোসেন আজাদীকে বলেন, ২০১৭ সালে ২৫ জুলাই মামলাটির চার্জগঠনপূর্বক বিচার কার্য শুরু হয়। মামলায় মোট ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা, চিকিৎসকসহ ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।