শিশু ও মাতৃমৃত্যু কমাতে মাতৃপুষ্টির বিকল্প নেই

চমেক হাসপাতালে সেমিনারে বক্তারা

| মঙ্গলবার , ১৩ জুন, ২০২৩ at ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের রফিক গ্যালারিতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০২৩ (১৩ জুন) উদযাপন উপলক্ষে ‘মাতৃপুষ্টি বিষয়ক সেমিনার’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত শনিবার অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শামীম আহসান। উপপরিচালক ডা. অংসুই প্রু মারমার সঞ্চালনায় সেমিনারে রির্সোস পারসন ছিলেন চমেকের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. হাফিজুল ইসলাম, শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. একেএম রেজাউল করিম এবং গাইনী ও অব্‌স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সোহেলা শাহনাজ।

কি নোট প্রেজেন্টার সহকারী অধ্যাপক (গাইনী ও অব্‌স) ডা. মুনওয়ার সুলতানা মাতৃপুষ্টি বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি জানান, স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে পুষ্টির ভিত অবশ্যই মজবুত করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১৫৪৯ বছর বয়সী ১ কোটি ৭০ লাখ নারী অপুষ্টির শিকার। জাতিসংঘের গবেষণামতেবাংলাদেশের ৭৩% মানুষের পুষ্টিকর খাবার ক্রয় করার সামর্থ্য নেই। গর্ভবতী, স্তন্যদানকারী মা এবং বয়ঃসন্ধিকালীন বয়সে পুষ্টির চাহিদা থাকে সর্বাধিক।

তিনি বলেন, সুস্থ মা জন্ম দিতে পারে সুস্থ শিশুর। যা রোগ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা থেকে শুরু করে ভবিষ্যতের অনেক রোগ থেকে বাঁচাতে পারে। মাতৃপুষ্টি স্বল্প ওজনের শিশু জন্ম ও শিশুদের অপুষ্টি রোধ করতে পারে এবং শিশুদের বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটায়। শিশুমৃত্যু ও মাতৃমৃত্যু কমানোর জন্য মাতৃপুষ্টির বিকল্প নেই। এ সময়ে স্বাভাবিক খাবারের চেয়ে কিছুটা অতিরিক্ত খাবার এবং আয়রন ও ফলিক এসিড ট্যাবলেট গ্রহণের মাধ্যমে সেই ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।

ডা. সোহেলা শাহনাজ মাতৃপুষ্টির উন্নয়নের জন্য লিঙ্গ সমতার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ডা. .কে.এম রেজাউল করিম বলেন, সুস্থ ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে মাতৃপুষ্টি নিশ্চিত করা আবশ্যক কেননা মায়ের গর্ভকালীন পুষ্টির উপর শিশুর মানসিক গঠন ও মেধামনন অনেকাংশে নির্ভরশীল। ডা. মো. হাফিজুল ইসলাম সমাজের সর্বস্তরে মাতৃপুষ্টির মান বাড়ানোর লক্ষ্যে নারীর ক্ষমতায়নের বিশেষ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শামীম আহসান তার বক্তব্যে অপুষ্টির মতো অতিপুষ্টিকে বিভিন্ন রোগের কারণ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, বর্তমান প্রজন্ম ফাস্ট ফুডের প্রতি আসক্ত হয়ে অনেক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, কম বয়সে হৃদরোগ, ডায়বেটিস, স্ট্রোক হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করছে। তিনি পুষ্টির মানোন্নয়নে সুস্থ খাদ্যাভ্যাস ও সুনিয়ন্ত্রিত জীবনাচরণের বিকল্প নেই বলে জানান। মাতৃপুষ্টি নিশ্চিত করতে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি সেমিনারের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিশুদের জন্য লিখতে গেলে শিশু মনস্তত্ব আয়ত্ত করে নিতে হয়
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সায়েন্স কার্নিভাল বৃহস্পতিবার