শিল্পকলায় স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হচ্ছে আজ

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৭ মে, ২০২৫ at ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামসহ দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে আজ শুরু হচ্ছে পাঁচদিনব্যাপী ‘চতুর্থ বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫’। নগরীর শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারিতে উপস্থিত হয়ে প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত যে কেউ এ উৎসব উপভোগ করতে পারবে। সিনেমার প্রচার ও বিকাশে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এ উৎসবের আয়োজন করেছে। চট্টগ্রামের জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দ মুহম্মদ আয়াজ মাবুদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া শেষ হয়েছে। আশা করছি, আগ্রহীরা যে কেউ উপস্থিত হয়ে আয়োজন উপভোগ করতে পারবে।

জানা গেছে, এবারের উৎসবে সারাদেশ থেকে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের ৩০০টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছে। সেগুলোর মধ্যে ২০৯টি ফিকশন এবং ৯১টি প্রামাণ্যচিত্র। পরবর্তীতে সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে প্রথমিক যাচাই বাছাইয়ের ভিত্তিতে ৮৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচন করা হয়। এর মধ্যে ৬০টি ফিকশন এবং ২৯টি প্রামাণ্যচিত্র।

এর আগে ২০১৬, ২০১৮ ও ২০২১ সালে তিনবার এই উৎসব আয়োজন করা হয়েছিল। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বলছে, উৎসবে প্রদর্শিত চলচ্চিত্রগুলোর নির্মাতাদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ ৩০ জনকে নিয়ে আগামী শুক্রবার দিনব্যাপী জাতীয় নাট্যশালার আর্কাইভ রুমে ‘মাস্টার ক্লাসের’ আয়োজন করা হবে। মাস্টার ক্লাসের বিষয় হবে সাউন্ড এন্ড সিনেমাটোগ্রাফি। প্রশিক্ষক হিসেবে থাকবেন নাহিদ মাসুদ এবং রাশেদ জামান।

উৎসবের উদ্বোধন করবেন চলচ্চিত্র নির্মাতা অনম বিশ্বাস। সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সভাপতিত্ব করবেন শিল্পকলা একাডেমির সচিব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন।

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, উৎসবে দেখানো সিনেমাগুলো থেকে জুরি কমিটি পুরস্কারের জন্য চূড়ান্তভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং বিশেষ জুরি নির্ধারণ করবেন। এছাড়া সার্বিকভাবে ৪টি বিশেষ পুরস্কার নির্ধারণ করবেন তারা। এগুলো হলো শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা, শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পনা এবং শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পনা। পুরস্কারের অর্থ মূল্য হিসেবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, শ্রেষ্ঠ নির্মাতা পাবেন ১ লাখ টাকা এবং বিশেষ জুরির জন্য ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বিশেষ পুরস্কারের অর্থ মূল্য হিসেবে, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা, শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পনা এবং শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পনা হিসেবে প্রতিটির জন্য ৩০ হাজার টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে। চলচ্চিত্রের নির্মাতারা সবাই সনদসহ উৎসব স্মারক পাবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় ইসলামী আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধগণমানুষের কল্যাণে সবাইকে কাজ করতে হবে : জেলা প্রশাসক