রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক খালে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে পদুয়ার নাপিত পুকুরিয়া গ্রামের বেশ কিছু বসতবাড়ি ও কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অব্যাহত ভাঙনে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে কয়েকটি গ্রাম। চলতি মৌসুমের পাহাড়ি ঢল ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে জানান এলাকাবাসীরা।
উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের নাপিত পুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা নুরুল আলম বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও শতাধিক স্পটে বালু উত্তোলনের কারণে শিলক খালের দু’পাশে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এলাকার প্রায় আড়াইশত পরিবার ঝুঁকিতে রয়েছে।
পদুয়া ব্রিজঘাটা এলাকার বাসিন্দা মো. বাহাদুর আলম বলেন, শত শত পরিবারের বসতি এবং কয়েক হেক্টর দুই ও তিন ফসলি জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ হয় এই এলাকায়। আমাদের একমাত্র সম্পদ ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি শিলক নদীর ভাঙনের কারণে বেশ আতঙ্কিত হয়ে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। বিগত সময়ে ভাঙন রোধে তেমন কোনো উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি। স্থানীয়ভাবে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিলেও তেমন কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। খালের ভাঙনে সবকিছু চোখের সামনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দা নয়ন বড়ুয়া বলেন, নাপিত পুকুরিয়া শিলক নদীর পশ্চিম পাড় ভাঙন রোধকল্পে ব্লক দিয়ে গ্রামকে রক্ষায় সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন, শিলক খালের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে এসেছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।