এফইআর অ্যাক্ট-১৯৪৭ এর ১৮/এ ধারা বিলুপ্ত হওয়ায় শিপিং/ফরওয়ার্ডিং এজেন্টগণ কোনো আইনই মানছে না বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ-সভাপতি এ এম মাহাবুব চৌধুরী। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরকে লিখা চিঠিতে এক চিঠিতে তিনি এ অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, এজেন্টদের জবাবদিহিতা না থাকায় তারা অনেকটা মুক্ত। কিছু বিদেশি ফরওয়ার্ডার দেশীয় কর্মচারীকে পার্টনার দেখিয়ে এদেশে লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করছে এবং রপ্তানিতেও বিভিন্ন বেআইনী অর্থ আদায় করে ডলার বানিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। রপ্তানিতে কিছু ফরওয়ার্ডার বিদেশে ব্যাংক ডকুমেন্ট ছাড়া চালান ডেলিভারি করায় বহু রপ্তানি প্রতিষ্ঠান মূল্য না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত/ বন্ধ হচ্ছে। এভাবে এদের আইন না কর্মকাণ্ডে আমদানি ও রপ্তানিতে বছরে দেশের প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার চলে আসছে। চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, এভাবে দেশের বিশাল আমদানি ও রপ্তানি খরচ কমিশন এজেন্টগণ দেশে না আনার কারণে মাসিক ২০০ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা নষ্ট হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ২১ আগস্ট তারিখের পত্র নং-সিএমসিসিআই/৩৬৯০/২০২২ এ টাইপিং মিসটেকের কারণে মাসিক শব্দের স্থলে দৈনিক লিখা হয়েছিল। যা মাসিক পড়ার অনুরোধ করছি। তবে উক্ত বেআইনী কর্মকাণ্ডে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক বছরে ২ বিলিয়ন ডলার হতে পারে, যা পূর্বের পত্রেও লিখা হয়েছিল।