চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে ওয়াসার মোড়ে জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদের সামনে নাশকতা ও নৈরাজ্যবিরোধী অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগসহ নগরীর ১৫টি থানা, ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অসংখ্য নেতাকর্মী কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
কর্মসূচিতে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বিপথগামী শিক্ষার্থীরা তাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে নিষিদ্ধ জামায়াত–শিবিরের পকেটে ভর্তি করিয়েছে। ওরা ঘরে না ফিরলে ওদের ভবিষ্যতকে কালিমায় ঢেকে দেবে। তাদের বাংলাদেশ আছে। এই দেশের স্বাধীনতাকে বিকিয়ে দেওয়া মানে নিজের পায়ে কুড়াল মারা। তারা যদি কোনো অপশক্তি ক্রীড়নক হয়ে থাকে তাদেরকে চরম মূল্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, নিষিদ্ধ জামায়াত–শিবিরের আস্তানা ও ঘাঁটি চিহ্নিত করে তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করার প্রত্যয়ে একাত্তরের হাতিয়ারকে শাণিত করার সময় এসেছে। নিষিদ্ধ জামাত–শিবিরের আশ্রয় ও প্রশ্রয়দাতা বিএনপি নামক স্বাধীনতা বিরোধীর ঘাঁটির সকল চিহ্ন মুছে দিতে হবে।
সাবেক মেয়র নাছির উল্লেখ করেন, ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তিকে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়া সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। এই পাপ তাদেরকে বহন করতেই হবে। নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে পাপিষ্ট কারা এবং যারা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে তাদের মা–বাপ ও কবরস্থানের ঠিকানা নেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান আতা, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সাংসদ নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, আইন বিষয়ক সম্পাদক শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, বন পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ হোসেন, যুব ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু, নির্বাহী সদস্য ড. নেছার উদ্দিন মনজু, হাজী বেলাল আহমদ, মহানগর যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক সুমন, সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, যুব মহিলা লীগের সায়রা বানু রুশনী, তাঁতি লীগের রত্নাকর দাশ টুনুসহ নেতৃবৃন্দ।