বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে স্মার্টফোন মানুষের নিত্যসঙ্গী। এটি জ্ঞান ও যোগাযোগে উপকারী হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য ক্রমশ চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারে তাদের মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে, পড়াশোনায় আগ্রহ কমছে এবং মানসিক ও শারীরিক সমস্যা বাড়ছে। ভার্চুয়াল জগতের প্রতি অতিরিক্ত ঝোঁকে বাস্তব জীবন থেকে দূরে সরে যাচ্ছে অনেক শিশু–কিশোর। অতিরিক্ত স্ক্রিন ব্যবহার ঘুম, স্মৃতিশক্তি ও একাগ্রতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের লাইক, কমেন্ট নির্ভরতা আত্মমর্যাদাবোধেও আঘাত করছে। তবে মোবাইল নিজে ক্ষতিকর নয়; নিয়ন্ত্রিতভাবে ব্যবহার করলে এটি শিক্ষার সহায়ক মাধ্যম হতে পারে। এ জন্য অভিভাবক ও শিক্ষকদের সচেতন ভূমিকা প্রয়োজন। শিশুদের বয়স ও প্রয়োজন বিবেচনায় সীমিত সময় মোবাইল ব্যবহারের অভ্যাস করানো জরুরি। বাসায় ‘মোবাইলমুক্ত সময়’ চালু করা এবং স্কুলে কঠোর নীতি অনুসরণ করা উচিত। পাশাপাশি খেলাধুলা, বই পড়া ও সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দিলে শিক্ষার্থীরা বিকল্প আনন্দ খুঁজে পাবে।
শিক্ষার্থীদের মনোযোগী ও সৃজনশীল করে গড়ে তুলতে প্রযুক্তির সুষম ব্যবহার অপরিহার্য। নিয়ন্ত্রণহীন মোবাইল ব্যবহারই তাদের ভবিষ্যতের বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এখনই এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
মুহাম্মদ হেদায়ত উল্লাহ
মহেশখালী, কক্সবাজার।










